ফের লুঠপাটের ঘটনা শিল্পাঞ্চলে। এ বার সালানপুরের সামডিহি এলাকায় পুলিশ ক্যাম্পের নাকের ডগায় অবস্থিত একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে লুঠপাটের ঘটনা ঘটল। ঘটনার পরে ব্যাঙ্কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
শুক্রবার সকালে কাজে যোগ দিতে এসে ব্যাঙ্ককর্মীরা দেখেন, পিছনের দিকের একটি জানলার গ্রিল ও কাঠের পাল্লা ভাঙা পড়ে রয়েছে। মেজেতে উল্টে রয়েছে ব্যাঙ্কের ভল্ট। ভল্টের দরজাটিও কেটে ফেলা হয়েছে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, লুঠ হয়েছে প্রায় ১৭ লাখ টাকারও বেশি লুঠ করা হয়েছে। খবর দেওয়া হয় সালানপুর থানায়।
সালানপুরের সামডিহি বাজারের অত্যন্ত ঘিঞ্জি এলাকায় একটি দোতলা বাড়ি ভাড়া করে ব্যাঙ্কটি চলে বলে খবর। ঘটনার খবর চাউর হতেই এলাকায় ভিড় জমাতে শুরু করেন বাসিন্দারা। ব্যাঙ্কে আসেন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এডিসিপি (পশ্চিম) অগ্নিশ্বর চৌধুরীও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও যথেষ্ট আটোসাঁটো ছিল না। ব্যাঙ্কে কোনও সিসি ক্যামেরাও নজরে পড়েনি বলে খবর। তা ছাড়া দুষ্কতীরা ব্যাঙ্কে ঢোকার সময় কনো নিরাপত্তা ঘণ্টাও বাজেনি বলে খবর। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, সাধারণত তালা বন্ধ ব্যাঙ্কে নিরাপত্তা ঘণ্টা লাগানো থাকে না। তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থার এমন হাল কেন প্রশ্ন করা হলে ব্যাঙ্কের ম্যানেজার রুবি দাস বলেন, ‘‘উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ঘটনার কথা জানানো হয়েছে। তাঁরাই যা বলার বলবেন।’’
ব্যাঙ্কে লুঠপাটের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই বাসিন্দারা এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। বাসিন্দারা জানান, ব্যাঙ্ক থেকে পুলিশ ক্যাম্পের দূরত্ব মোটে তিনশো মিটার। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকে দুষ্কৃতীরা ঢুকে প্রায়শই এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজকর্ম করছে। অগ্নিশ্বরবাবুর অবশ্য দাবি, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে। দুষ্কৃতীরা ধরা পড়বে।’’ এলাকায় পুলিশি টহল বাড়ানোরও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।