পুরস্কৃত ভূমি-কর্তারা
DM

রাজস্ব আদায়ে সাফল্য

জামালপুরের তুলনায় মোটে দু’লক্ষ টাকা কম রাজস্ব আদায় করে দ্বিতীয় বর্ধমান ২ ব্লকের বিএলএলআরও সোনিয়া হোড় জানান, বালি ঘাটের ইজারাদারদের স্পষ্ট ভাবে বলে দেওয়া হয়, ‘মুনাফা করুন আপত্তি নেই। কিন্তু রাজস্ব না দিলে নিস্তার নেই’। তাঁর দাবি, এতেই ভাল কাজ হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৮ ১১:২৪
Share:

বার্তা: শিবিরে হাজির কচিকাঁচারা। নিজস্ব চিত্র

প্রথম, জামালপুর। দ্বিতীয়, বর্ধমান ২ ও তৃতীয়, খণ্ডঘোষ। ২০১৭-১৮ অর্থ বর্ষে ভূমি থেকে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে এই তিন ব্লকই সেরা তিন বলে জানাল জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে ওই তিন ব্লকের বিএলএলআরও-দের পুরস্কৃতও করলেন জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব।

Advertisement

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত এক বছরে ভূমি থেকে আয়, একশো কোটিরও বেশি। পুরস্কার বিতরণ করে জেলাশাসক ভূমি-কর্তাদের বলেন, ‘‘কোনও ভাবেই ভূমি রাজস্ব কমানো যাবে না। আমাদের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে। ভূমি নিয়ে কোনও গোলমাল প্রশাসন বরদাস্ত করবে না। জেলা প্রশাসন সবরকম ভাবে আপনাদের সহযোগিতা করবে।’’ সরকারি জমি বেদখল হওয়া আটকাতেও ভূমি-কর্তাদের আরও কঠোর হওয়ার পরমার্শ দিয়েছেন জেলাশাসক।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে বালিঘাট নিলাম করে ও ভূমি-রাজস্ব বাবদ জেলার আয় ছিল ৫০ কোটি টাকার কাছাকাছি। অজয়, দ্বারকেশ্বর, মুণ্ডেশ্বরী, দামোদর দিয়ে ঘেরা পূর্ব বর্ধমানে (সাবেক বর্ধমান) ভূমি-রাজস্ব আদায়ের এই হাল দেখে ক্ষুব্ধ হয়েছিল নবান্ন। নবান্ন থেকে তৎকালীন জেলাশাসক সৌমিত্র মোহনের কাছেও জানতে চাওয়া হয়, বীরভূম-বাঁকুড়া কী ভাবে রাজস্ব আদায়ে এগিয়ে থাকল? এর পরেই অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) থেকে ভূমি দফতরের মাথায় বসানো হয় প্রণব বিশ্বাসকে। নতুন জেলাশাসক হন অনুরাগবাবু। প্রশাসনিক নানা রদবদল এবং প্রয়োজনে ক়ড়া ব্যবস্থা, এই দুই কারণেই এই জেলা বর্তমানে ভূমি-রাজস্ব আদায়ের নিরিখে রাজ্যে দ্বিতীয় বলে দাবি প্রশাসনের কর্তাদের।

Advertisement

অতীতে কাটোয়া বা সাবেক বর্ধমানে কাঁকসা-সহ একাধিক এলাকায় বেআইনি কারবার রুখতে গিয়ে ভূমি-কর্তাদের হেনস্থার ঘটনা ঘটে। কিন্তু গত এক বছরে তেমনটা কিছু হয়নি। কেন এমনটা হল? ৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা আয় করে জেলার সেরা হওয়া জামালপুর ব্লকের বিএলএলআরও পার্থ ঘোষের দাবি, “গত বছর ১৬টি নতুন বালি ঘাট ই-নিলাম হয়েছে। সীমিত ক্ষমতার মধ্যেও নজরদারি বাড়াতে পেরেছি। তাই বিপত্তি এড়িয়ে সাফল্য মিলেছে।’’ জামালপুরের তুলনায় মোটে দু’লক্ষ টাকা কম রাজস্ব আদায় করে দ্বিতীয় বর্ধমান ২ ব্লকের বিএলএলআরও সোনিয়া হোড় জানান, বালি ঘাটের ইজারাদারদের স্পষ্ট ভাবে বলে দেওয়া হয়, ‘মুনাফা করুন আপত্তি নেই। কিন্তু রাজস্ব না দিলে নিস্তার নেই’। তাঁর দাবি, এতেই ভাল কাজ হয়েছে।

শুধুমাত্র ভূমি রাজস্বের নিরিখে প্রথম তিনে রয়েছে, গলসি ১, আউশগ্রাম ২ ও বর্ধমান ২ এবং রয়্যালটি আদায়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় যথাক্রমে কাটোয়া ২, পূর্বস্থলী ১ ও রায়না ১। প্রণববাবু বলেন, “প্রত্যেকের পরিশ্রমের জন্যই আমাদের এই সাফল্য। বিএলএলআরও-দের উৎসাহিত করতেই পুরস্কার। তাঁরা কী ভাবে সাফল্য পেলেন, তা সহকর্মীদের জানানোটাই এর অন্যতম উদ্দেশ্য।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement