রকমারি মিষ্টির স্পেশ্যাল ডালা

‘ডিম পাতুরি দেব না বাটার রোল’ — চেনা মিষ্টির দোকানে ঢুকেও নাম শুনে খানিক হকচকিয়ে গিয়েছিলেন কাটোয়ার মানু চক্রবর্তী। পরে জানলেন, নোনতা খাবার নয়, এগুলোই ভাইফোঁটার স্পেশ্যাল মিষ্টি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৬ ০০:৪১
Share:

নানা রকম মিষ্টি সাজিয়ে তৈরি থালি। নিজস্ব চিত্র।

‘ডিম পাতুরি দেব না বাটার রোল’ — চেনা মিষ্টির দোকানে ঢুকেও নাম শুনে খানিক হকচকিয়ে গিয়েছিলেন কাটোয়ার মানু চক্রবর্তী। পরে জানলেন, নোনতা খাবার নয়, এগুলোই ভাইফোঁটার স্পেশ্যাল মিষ্টি।

Advertisement

এ ছাড়াও দিওয়ালি উপহারের ঢঙে একাধিক রকমের মিষ্টি দিয়ে একটা বিশেষ বাক্স সাজিয়েও বিক্রি করা হচ্ছে এ বার। ব্যবসায়ীদের দাবি, ৪০টি মিষ্টির একটি ডালার দাম ২৩০ টাকা। মফস্সলে এর আগে এমন প্যাকেজিং করে মিষ্টি বিক্রি হয়নি বলেও দাবি ব্যবসায়ী তাপস ঘোষের। তিনি জানান, এই ডালা কিনলে এক সঙ্গে কম মিষ্টি, বেশি মিষ্টি, সন্দেশ রসের মিষ্টির বৈচিত্র্য পেয়ে যাবেন ক্রেতারা। ফলে সাশ্রয় হবে, আবার মিষ্টির এমন বাহারি উপহার দেখে ভাইও খুশি হবে।

কাটোয়া শহরের রেলগেট লাগোয়া একটি মিষ্টির দোকান এ বার নতুন এনেছে সুইট কাটলেট। তাঁদের দাবি, রসে চোবানো, গাঠিয়া আটকানো এ মিষ্টি সহজেই ক্রেতাদের মন টানবে। দামও সাধ্যের মধ্যে। ক্ষীরের তৈরি ‘ডিম পাতুরি’ বা ‘বাটার রোল’ বিকোচ্ছে ১০ টাকা দামে, রয়েছে ‘আবার খাবো’, ‘রানিভোগ’। বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আরেকটি দোকানে আবার রয়েছে গাজর সন্দেশ বা লাল রঙের কুমকুম সন্দেশ। ব্যবসায়ীর দাবি, গাজরের গুণের সঙ্গে মিষ্টি স্বাদ দুটোই মিলবে এই মিষ্টিতে। নিচুবাজরের এক দোকানের বিশেষত্ব আবার বাদাম দেওয়া সুগন্ধী ছানার পায়েস। ১০০ গ্রাম প্রতি ৪০ টাকা ওই পায়েস কিনতে ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। এ ছাড়া বিখ্যাত পরানের পান্তুয়া তো রয়েইছে। তবে এই ভাইফোঁটায় দাম বাড়ানো হয়েছে এক টাকা। তাতেও ক্রেতারা এক বেলা আগে থেকেই মিষ্টির বরাত দিয়ে যাচ্ছেন। দোকানি সমরেশ কুন্ডু জানান, আহারে বাংলা থেকে ফেরার পর এলাকা বাইরের মানুষের মধ্যে পান্তুয়ার চাহিদা আরও বেড়েছে। পান্তুয়া ছাড়াও আমসত্ত্ব রোল ও জয়নগরের মোয়াও বিক্রি করছেন তাঁরা। মিষ্টান্ন সমিতির সম্পাদক পরেশ সাহা জানান, ছানার দাম বশি হলেও এ সময় চাহিদা বেশি থাকায় জোগান দিতে দাম একটু আধটু বাড়াতে বাধ্য হচ্ছেন বিক্রেতারা।

Advertisement

শহর ছাড়িয়ে মঙ্গলকোটের নিগনে আবার ১৭ বছর ধরে নিত্যনতুন মিষ্টি বানিয়ে চলেছেন কুন্তল হাজরা। দোকান না থাকলেও বর্ধমান, দুর্গাপুর, কলকাতা, শিলিগুড়ি ছাড়িয়ে বিদেশেও পাঠাচ্ছেন তাঁর প্যাকেটে বাহারি মিষ্টি। নাম দিয়েছেন ‘মিষ্টি বাংলা’। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে বিভিন্ন রকমের ‘ফিউশন মিষ্টি’। ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে বানিয়েছেন চকোলেট ও কাজু দিয়ে চকো বরফি, মিহিদানার পুর দিয়ে তার উপর মালাই দিয়ে বাক্স আকৃতির মিহিদানা টার্ট, কেশর লাড্ডু, বেকড রসোগোল্লা, পেস্তা বাদাম ফিলিংয়ে পানের আকারে ঘিয়ে ভাজা শাহি পান। ১০ রকম মিষ্টি দিয়ে তৈরি করেছেন বিশেষ ট্রে, যার দাম ৫০০। এ ছাড়া সুগার রোগীদের কথা মাথায় রেখে সুগার ফ্রি বাটারস্কচ সন্দেশ তো রয়েইছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন