Health center

চিকিৎসকের অভাবে ধুঁকছে ভাতকুণ্ডা উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাতের দশকে যখন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি তৈরি হয়। তখন ১০টা শয্যা ছিল। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ছিলেন যথাক্রমে দুই, তিন, দু’জন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বুদবুদ শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২৩ ০৯:৪৬
Share:

জীর্ণ আবাসন। নিজস্ব চিত্র

এক সময় শয্যা ছিল। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকার জন্য রয়েছে আবাসনও। কিন্তু বেশ কয়েকবছর ধরে তা বেহাল। চিকিৎসক আসাও বন্ধ হয়ে যায়। ধুঁকতে থাকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। এমনই হাল বুদবুদের দেবশালা পঞ্চায়েতের ভাতকুণ্ডা উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র ও তার আবাসনগুলির। বর্তমানে এক জন চিকিৎসক এখানে এলেও, আবাসনগুলি ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অভিযোগ, কেন্দ্রের কোনও সীমানা পাঁচিল না থাকায়, সন্ধ্যা নামলেই সেখানে মদের আসর বসছে। আউশগ্রাম ২ ব্লকের তরফে সমস্যা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাতের দশকে যখন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি তৈরি হয়। তখন ১০টা শয্যা ছিল। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ছিলেন যথাক্রমে দুই, তিন, দু’জন। জঙ্গলমহল এলাকার বাসিন্দাদের চিকিৎসার জন্য খুবই উপযোগী ছিল এটি। কিন্তু আস্তে আস্তে এটি বেহাল হতে শুরু করে। চিকিৎসকের সংখ্যাও কমতে থাকে। বছর পাঁচেক আগে এখানে কোনও চিকিৎসকই ছিলেন না। স্থানীয় বাসিন্দা জিতেন্দ্র মুখোপাধ্যায় জানান, বাসিন্দারা মিলে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি বাঁচানোর লড়াই শুরু করেন। অবশেষে এক জন চিকিৎসক তিন দিনের জন্য এখানে দেওয়া হয়েছে। এক জন নার্স রয়েছেন। এতে স্থানীয় মানুষের কিছুটা সুবিধা হয়েছে। উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি তৈরি হওয়ার সময়ে বেশ কয়েকটি আবাসনও তৈরি করা হয়। সেখানে চিকিৎসক, নার্স-সহ স্বাস্থ্যকর্মীরা থাকতেন। চিকিৎসক সরিয়ে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই আবাসনগুলিও জীর্ণ হয়ে গিয়েছে।

স্থানীয়েরা জানান, উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের পিছন দিকে রয়েছে আবাসনগুলি। কিন্তু পিছন দিকে কোনও সীমানা পাঁচিল নেই। ফলে, ফাঁকা আবাসন থেকে আস্তে আস্তে চুরি গিয়েছে জানলা, দরজা। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাতের দিকে নানা অসামাজিক কাজকর্মও চলে এই আবাসনগুলিতে। স্থানীয় বাসিন্দা মহাদেব বৈরাগ্য জানান, চারটি আবাসন রয়েছে। বছর চারেক আগেও এখানে এক জন স্বাস্থ্যকর্মী থাকতেন। বাকিগুলি ফাঁকাই পড়ে থাকত। কিন্তু এখন সে সব আর কিছুই নেই। স্থানীয়দের অভিযোগ, শুধু নজরদারির অভাবেই সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হচ্ছে। তাঁদের দাবি, ওই আবাসনগুলি সংস্কার করে ফের পুরোদমে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালু করতে হবে।

Advertisement

আউশগ্রাম ২ ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, চিকিৎসকের অভাব থাকায় এখন তিন দিন করে এক জন চিকিৎসক থাকেন সেখানে। স্থানীয়দের দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। দেবশালা পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল বক্সী বলেন, “সীমানা পাঁচিলের বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন