আবর্জনা থেকে বায়োগ্যাস

বেশ কয়েক মাস ধরেই বর্ধমান-কালনা রোডের ডাম্পিং গ্রাউন্ডে আবর্জনা না ফেলে রাস্তার উপরে ফেলা হচ্ছে বলে বেশ অভিযোগ জানাচ্ছিলেন বাসিন্দারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৭ ১১:৪০
Share:

বর্ধমান: ক্ষোভ-অবরোধের জেরে টনক নড়ল পুরসভার।

ক্ষোভ-অবরোধের জেরে টনক নড়ল পুরসভার।

Advertisement

শেষমেশ, ডাম্পিং গ্রাউন্ডের বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস তৈরির প্রকল্প হাতে নিতে চলেছে বর্ধমান পুরসভা। পুরসভাসমূহের বাস্তুকার দফতর (এমইডি) ওই প্রকল্পের সবিস্তার রিপোর্ট তৈরির কাজে হাত দিয়েছে। দফতরের রাজ্য স্তরের এক কর্তার কথায়, “সপ্তাহ দু’য়েকের মধ্যে ওই রিপোর্ট তৈরি হয়ে যাবে। ৫০-৬০ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন পেতে মাস খানেক সময় লাগবে। আশা করা যায়, তিন মাসের মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।” আজ, বৃহস্পতিবার বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার (বিডিএ) দফতরে বৈঠক করবে পুরসভা ও এমইডি-র মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

বেশ কয়েক মাস ধরেই বর্ধমান-কালনা রোডের ডাম্পিং গ্রাউন্ডে আবর্জনা না ফেলে রাস্তার উপরে ফেলা হচ্ছে বলে বেশ অভিযোগ জানাচ্ছিলেন বাসিন্দারা। মঙ্গলবার সকালে পুরসভার আবর্জনার গাড়ির ধাক্কায় এক ছাত্র আহত হওয়ার পরেই এলাকাবসী ওই রাস্তা অবরোধ শুরু করেন। ঘণ্টা দুয়েক অবরোধ চলে। স্থানীয়দের দাবি, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুরসভা জমি-হস্তান্তর করলে কোনও পক্ষকেই অসুবিধায় পড়তে হত না।

Advertisement

পুরসভার দাবি, মঙ্গলবার থেকেই অতিরিক্ত ৫০ কর্মী নিয়োগ করে পাঁচিলের গায়ে ডাঁই হয়ে থাকা বর্জ্য সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। এ ছাড়াও প্রায় সাড়ে ২২ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি মাটি কাটার যন্ত্র কিনে শুধু মাত্র ডাম্পিং গ্রাউন্ডে রেখে আবর্জনা সাফ করা হচ্ছে। পুরপিতা পরিষদের সদস্য (জঞ্জাল) খোকন দাসের দাবি, “৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে অত্যাধুনিক মাটি খননের যন্ত্র কেনা হচ্ছে। ওই যন্ত্র কয়েক দিনের মধ্যে চলে এলে ডাম্পিং গ্রাউন্ডের ভিতর পর্যন্ত আবর্জনা নিয়ে যাওয়া হবে। এ ছাড়াও পাঁচিলের গা দিয়ে নিকাশি ব্যবস্থা করছি, তাতে বর্জ্যের জল রাস্তায় এসে পড়বে না।” যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বুধবার পরিস্থিতি তেমন কিছু বদল হয়নি।

জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু দশ দিনের মধ্যে পুরসভাকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছেন। পুরসভাও ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জায়গা দখল করে থাকা তিরিশটি বাড়ি ও বারোটি দোকান ঘর উচ্ছেদ করার জন্যও চিঠি পাঠানো হচ্ছে। পুরকর্তাদের একাংশের ধারণা, ‘দখলদার’রাই অবরোধ, বিক্ষোভ করে এলাকা তিক্ত করছে।

পুরসভার দাবি, প্রতিদিন গড়ে ১৫০ মেট্রিক টন আবর্জনা ওই ডাম্পিং গ্রাউন্ডে পড়ে। সেখান থেকে পচনশীল বর্জ্য নিয়ে বায়োগ্যাস তৈরি করা হবে। পুরপ্রধান স্বরূপ দত্ত বলেন, “পুরো জায়গা ঢেকে বায়োগ্যাস প্রকল্প হবে। পরিবেশ বিধি লঙ্ঘন হবে না। এলাকার বাসিন্দাদের কাছে তিন মাস সময় চাইছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন