তৃণমূলকে কটাক্ষ বিজেপির। প্রতীকী চিত্র।
তৃণমূলের সভায় কেতুগ্রাম ১-এর বিডিও-র হাজির থাকার প্রতিবাদে পথে নামলেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটে এরকম ‘দলদাসদের’ দিয়েই কাজ করাবে তৃণমূল। এ সব তারই প্রতিফলন।
বিজেপির দাবি, ‘দলদাস’ ওই বিডিওকে বদলি করতে হবে। জেলার কোন কোন সরকারি আধিকারিক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে শাসক দলের হয়ে কাজ করছেন, তার তালিকাও তৈরি করা হচ্ছে দাবি গেরুয়া শিবিরের। সোমবার বিজেপির তরফ থেকে জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়।কংগ্রেস ও সিপিএমও পিছিয়ে নেই। আজ, মঙ্গলবার মহকুমাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা কংগ্রেসের। এ দিন বর্ধমানে একটি অনুষ্ঠানে এসে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও বলেন, ‘‘স্থানীয় প্রশাসন, তৃণমূলের গুন্ডারা একসঙ্গে লুটের রাজত্ব চালাচ্ছে। কখনও দেখা যাচ্ছে পুলিশ নাচছে। এ বার বিডিও তৃণমূলের সভায় যাচ্ছেন।’’ সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিডিও-কাণ্ড নিয়ে তেঁড়েফুড়ে মাঠে নেমেছে বিরোধীরা। যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন দেখে আমাদের ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। বিরোধীদের নিয়ে আমরা মোটেই চিন্তিত নই।’’
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যুব তৃণমূল ও টিএমসিপি ২৯ মার্চ শহিদ মিনারে জমায়েতের ডাক দিয়েছে। সেখানে মূল বক্তা হিসেবে থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্লক অফিসের সভাকক্ষে শনিবার ওই কর্মসূচির প্রস্তুতি সভার আয়োজন করেছিল কেতুগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। মঞ্চের পিছনে তৃণমূলের বড় ফ্লেক্সে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি টাঙানো ছিল। সেখানেই তৃণমূলের নেতা ও বিধায়কের মাঝেখানে মাইক্রোফোন হাতে বসেছিলেন বিডিও পূর্ণেন্দু স্যানাল। বিডিও-র অবশ্য দাবি, ঘটনার গুরুত্ব বুঝতে পারেননি তিনি। ভুল হয়ে গিয়েছে।
জেলা বিজেপির (কাটোয়া সাংগঠনিক) সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জেলাশাসকের কাছে তৃণমূলের দলদাস কেতুগ্রাম ১-এর বিডিওকে বদলির আর্জি জানিয়েছি। এমন আরও অনেকে আছেন। আমরা তাঁদের তালিকা তৈরি করছি। দলদাস ব্লক আধিকারিকেরা পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের হয়ে কাজ করবেন বলে আমরা মনে করি। এ নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলব।’’ কাটোয়া মহকুমা কংগ্রেসের সভাপতি জগদীশ দত্ত বলেন, ‘‘তৃণমূলের সভায় গিয়ে বিডিও সরকারি চেয়ারকে অসম্মান করেছেন। তাঁর বদলির দাবিতে আমরা স্মারকলিপি দেব।’’ কেতুগ্রাম ১ সিপিএমের এরিয়া কমিটির সদস্য মিনাজুল কবীর ধিরাজও বলেন, ‘‘বিডিওর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতেই হবে। আমাদের কর্মসূচি রয়েছে। নেতৃত্বের নির্দেশ মতো পদক্ষেপ হবে।’’