Bardhaman

তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগে বর্ধমানে গ্রেফতার বিজেপি নেতা, পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ

আদালতে পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত খোকনের বিরুদ্ধে ৯টি মামলা বর্ধমান থানায় রয়েছে। তার মধ্যে বেশ কয়েকটিতে চার্জশিট পেশ হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২১ ০০:০২
Share:

বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ সেন নিজস্ব চিত্র।

তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগে বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ সেন ওরফে খোকনকে গ্রেফতার করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে শহরের কালীবাজার আমতলা এলাকা থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতকে ১০ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ। সরকারি আইনজীবী নারদ কুমার ভুঁইঞা পুলিশি হেফাজতের পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন। সওয়াল শুনে ধৃতের ৪ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন সিজেএম।

Advertisement

ধৃতের আইনজীবী কমল দত্ত বলেন, ‘‘এর আগে এই ঘটনায় ১৪ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁদের জামিন মঞ্জুর হয়েছে। বিষয়টি মিটমাট হয়ে গিয়েছে। দু’পক্ষই এ নিয়ে আদালতে হলফনামা জমা দিয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে খোকনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’

পঞ্চম দফা ভোটের পরে শহরের লক্ষ্মীপুরমাঠ, মেহেদিবাগান, রথতলা ও কাঞ্চননগর এলাকায় বিজেপি এবং তৃণমূলের সংঘর্ষ হয়। বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। সংঘর্ষে বিজেপি ও তৃণমূলের বেশ কয়েকজন জখম হন। সংঘর্ষের পরের দিন ১৮ এপ্রিল সকালে লক্ষ্মীপুরমাঠ এলাকায় বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক মারপিট হয়। তৃণমূল কর্মীদের বেধড়ক পেটানো হয়। বাড়িতে হামলা চালানো হয়। কয়েকটি বাইক ভাঙচুর করা হয়। একটি ক্লাবেও ভাঙচুর করা হয়। এ নিয়ে শহরের রথতলা এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ হাজরা বর্ধমান থানায় খোকনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।

Advertisement

আদালতে পুলিশ জানিয়েছে, ভোটের পর বর্ধমান শহরে বেশ কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তা নিয়ে বেশ কয়েকটি মামলা রুজু হয়। ধৃত খোকনের বিরুদ্ধে ৯টি মামলা বর্ধমান থানায় রয়েছে। তার মধ্যে বেশ কয়েকটিতে চার্জশিট পেশ হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা কল্লোল নন্দন বলেন, ‘‘চক্রান্ত করে খোকনকে ফাঁসানো হয়েছে। বিজেপি করার অপরাধে তাঁকে গ্রেফতার করেছে দলদাস পুলিশ।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement