Dilip Ghosh

‘এখানে অলক্ষ্মীর পাঁচালি’ হচ্ছে! নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীর ‘উন্নয়নের পাঁচালি’কে কটাক্ষ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের

লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়েও রাজ্যের তৃণমূল সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৫ ২৩:৩৩
Share:

দিলীপ ঘোষ। — ফাইল চিত্র।

বাংলায় লক্ষ্মীর নয় ‘অলক্ষ্মীর পাঁচালি’ হচ্ছে। দুর্গাপুরে মঙ্গলবার এমনটাই বললেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। নাম না করে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মঙ্গলবার নবান্নে তাঁর তিন মেয়াদের কাজের খতিয়ান (রিপোর্ট কার্ড) প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। যার পোশাকি নাম ‘উন্নয়নের পাঁচালি’। মনে করা হচ্ছে, সেই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন দিলীপ।

Advertisement

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুরের বাঁকুড়া মোড়ে সনাতনী ঐক্যমঞ্চের কর্মসূচিতে যোগ দেন বিজেপি নেতা দিলীপ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিজেপি নেতা তথা সনাতনী ঐক্য মঞ্চের সদস্য সুমন্ত মণ্ডল, অভিজিৎ দত্ত, কল্যাণ দুবেরা। সেখানেই দিলীপ বলেন, ‘‘লালুপ্রসাদ যাদব যখন ক্ষমতায় (বিহারে) ছিলেন, তখন লালু চালিশা করেছিলেন। আমরা বলতাম ভালু চালিশা। আর এখানে লক্ষ্মীর পাঁচালি না অলক্ষ্মীর পাঁচালি হচ্ছে! তাঁর (পড়তে হবে মুখ্যমন্ত্রী) পরিণামও লালুপ্রসাদের মতোই হবে।’’

রাজ্যে ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে মমতা তাঁর ১৫ বছরের শাসনকালের উন্নয়নের খতিয়ান বলেন নবান্নে। এই নাম নিয়ে মমতা বলেছেন, ‘‘আমাদের মা-ঠাকুমারা পাঁচালি পড়তেন। এখনও গ্রামের কিছু কিছু জায়গায় সেই চল রয়েছে। কিন্তু বহু জায়গাতেই তা আর হয় না। সেই ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতেই আমরা পাঁচালি শব্দটা ব্যবহার করলাম।’’ এ বার এই নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর দিকে আঙুল তুললেন দিলীপ। লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়েও রাজ্যের তৃণমূল সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, ‘‘লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো প্রকল্প চালু করলে ভোট পাওয়া যায়। সেই জন্য সবাই অনুসরণ করছে। এটা উন্নয়ন নয়, অপচয়।’’

Advertisement

মঞ্চে বক্তৃতা করতে গিয়ে বেলডাঙায় তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর প্রস্তাবিত ‘বাবরি মসজিদ’ প্রসঙ্গে মুখ খোলেন দিলীপ। তিনি বলেন, ‘‘বাবর নিজে যেখানে মসজিদ বানিয়েছিল, সেটাকে হিন্দুরা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। রোজ ৫০-১০০ জনকে তুলে দিতাম ট্রেনে। যাও করসেবা করো। এখানেও বাবরি মসজিদ বানানোর চেষ্টা চলছে। তার প্রতিবাদ করবে হিন্দুরা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা বলছি নিজের জমিতে মন্দির মসজিদ গির্জা করো, আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু বাবরের নাম নিলে আমরা প্রতিবাদের ঝড় তুলব। এখানে আক্রমণকারীর নামে মসজিদ হবে না। হিন্দুরা প্রতিবাদ করবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement