Sukanta Majumder

অবৈধ কয়লার নতুন সিন্ডিকেট, দাবি সুকান্তের

শহরের নাগরিক পরিষেবা বেহাল, এমন অভিযোগে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার নেতৃত্বে আসানসোল পুরসভা অভিযান হয়। যোগ দেন সুকান্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৩ ০৯:২১
Share:

আসানসোলে সুকান্ত মজুমদার। —নিজস্ব চিত্র।

অবৈধ কয়লা কাটতে গিয়ে রানিগঞ্জের নারায়ণকুড়িতে তিন জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল পুলিশ। সেই ঘটনার রেশ ধরে শুক্রবার আসানসোলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তৃণমূলের আশ্রয়ে নতুন কয়লা-সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন। তৃণমূল যদিও এই অভিযোগে আমল দেয়নি।

Advertisement

শহরের নাগরিক পরিষেবা বেহাল, এমন অভিযোগে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার নেতৃত্বে আসানসোল পুরসভা অভিযান হয়। যোগ দেন সুকান্ত। পরে তাঁর অভিযোগ, “কয়লা চুরির নতুন সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। তৃণমূলের মদতপুষ্ট এই সিন্ডিকেট পুলিশের সাহায্যে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।” এক জনের নাম উল্লেখ করে ওই ব্যক্তি কয়লা সিন্ডিকেট চালাচ্ছেন এবং তিনি তৃণমূল আশ্রিত বলেও সুকান্ত অভিযোগ করেন। সিবিআই, ইডি তদন্তের পরে কয়লা সিন্ডিকেটের একদা ‘মাথা’ বলে পরিচিত অনুপ মাজির দল এখন আর নেই বলেও জানান তিনি। সে সঙ্গে, নারায়ণকুড়ির ঘটনার জন্য ইসিএলের গাফিলতি রয়েছে বলেও সুকান্তের অভিযোগ।

স্থানীয় একটি সূত্রের দাবি, সুকান্ত যে ব্যক্তির নাম করেছেন, তাঁর বাড়ি বারাবনির একটি এলাকায়। বাম আমল থেকে কয়লা চুরির নানা অভিযোগে তাঁর নাম জড়িত। ওই অসমর্থিত সূত্রের এ-ও দাবি, ওই ব্যক্তির নেতৃত্বে অবৈধ ভাবে সংগ্রহ করা কয়লা পাচার হয়েছে। পুলিশ ও ইসিএল এই তথ্যের সত্যতা স্বীকার করেনি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ফোন করা হলেও উত্তর দেননি। রাত পর্যন্ত জবাব মেলেনি মেসেজেরও।

Advertisement

তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর যদিও প্রতিক্রিয়া, “গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত বিজেপি। তাই পালে হাওয়া তুলতে তৃণমূলকে অকারণ আক্রমণ করা হচ্ছে। তৃণমূল দুর্নীতির সঙ্গে আপস করে না।”

এ দিকে, আসানসোলের ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলে দাবি করে সুকান্তের অভিযোগ, “এর প্রতিরোধে যা-যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, পুরসভা তা করছে না।” কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা পকেটে পোরার মতো অভিযোগ ও পুরসভায় সিবিআই-ইডি তদন্তের হুঁশিয়ারি প্রভৃতিও দিতে দেখা যায় সুকান্তকে। যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন “উনি কোনও খবর রাখেন না। ডেঙ্গি প্রতিরোধে পুরসভার উদ্যোগে প্রায় দেড় হাজার কর্মী ও স্বাস্থ্যকর্মীর একটি দল গড়ে ১০৬টি ওয়ার্ডে লাগাতার পর্যবেক্ষণ চালানো হয়েছে। ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে আছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন