Kapil Moreshwar Pati

পাখির চোখ আসানসোল, মন্ত্রীর মন্তব্যে আমল দিচ্ছে না তৃণমূল

কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ভারত বিকশিত অভিযান যাত্রা’ উপলক্ষে এ দিন পশ্চিম বর্ধমানে এসেছিলেন কপিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:২৯
Share:

সালানপুরে মন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র

বিজেপির রাজ্য নেতারা ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে লোকসভায় ৪২টি আসনের মধ্যে ৩৫টিতে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়ার কথা বার বার বলেছেন। শনিবার কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী কপিল মোরেশ্বর পাটিল সালানপুরে এসে দাবি করলেন, এই রাজ্যে ন্যূনতম ২৬টি আসনে জেতা তাঁদের লক্ষ্য। পাশাপাশি, এ-ও জানালেন, আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রটিকে পাখির চোখ করছেন তাঁরা। যদিও, কপিলের এ সব মন্তব্যে আমল না দিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এ সবই দিবাস্বপ্ন!

Advertisement

কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ভারত বিকশিত অভিযান যাত্রা’ উপলক্ষে এ দিন পশ্চিম বর্ধমানে এসেছিলেন কপিল। কেন্দ্রের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি বিস্তারিত ভাবে জনসমক্ষে তুলে ধরাটাই এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য বলে বিজেপি নেতৃত্ব জানান। জামুড়িয়ার বাগডিহা-সিদ্ধেশ্বরে দলের চড়ুইভাতিতে যোগ দেন কপিল। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে, উজ্জ্বলা যোজনায় গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে কি না, তা জানতে চান। রানিগঞ্জের তিরাট পঞ্চায়েতের চেলোদ গ্রামে দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন করেন। সালানপুরের ডাবরে প্রকাশ্য সমাবেশ করেন। এ দিন মন্ত্রীর সঙ্গে কর্মসূচিতে ছিলেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল ও অজয় পোদ্দার।

ওই সমাবেশে যোগ দিয়েই কপিলের মন্তব্য, “২০১৪ এবং ২০১৯-এর নির্বাচনে বিজেপি এখান থেকে জিতেছিল। পরে, উপনির্বাচনে পরাজয় হলেও ফের ’২৪-র নির্বাচনে আসানসোল কেন্দ্রটিকে পাখির চোখ করা হয়েছে। রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে খুব কম হলেও ২৬টি আসন জিততে চায় বিজেপি।” এর পরেই রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হন মন্ত্রী। বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার পাঁচশো টাকা করে লক্ষ্মীর ভান্ডার দিচ্ছেন। কিন্তু রাজ্যের মানুষকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের আয়ুষ্মান ভারতের পাঁচ লক্ষ টাকার সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছেন।” সে সঙ্গে, ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার’ নাম বদলে ‘বাংলা আবাস যোজনা’ করা, একশো দিনের প্রকল্পে দুর্নীতি-সহ নানা অভিযোগ করেন রাজ্যের বিরুদ্ধে।

Advertisement

যদিও, কপিলের মন্তব্যে আমল দিচ্ছে না তৃণমূল। দলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া, “ভোটের আগে পরিযায়ী পাখির মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা রাজ্যে এসে সাধারণ মানুষকে ভাঁওতা দিতে শুরু করেন।” তাঁর সংযোজন: রাজ্যে ‘স্বাস্থ্যসাথীর’ মতো প্রকল্প রয়েছে। পাশাপাশি, তাঁর বক্তব্য, “একশো দিনের প্রকল্পে কেন্দ্র যে বঞ্চনা করছে বাংলাকে, মন্ত্রী বরং তা নিয়ে কিছু বলতে পারতেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন