BJP

বিজেপি করার ‘অপরাধে’ বাড়ি ছাড়তে বলেছে তৃণমূল, দাবি ঘিরে তরজা শুরু বর্ধমানে

এ অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বিধানসভা ভোটে এলাকায় সন্ত্রাস চালিয়েছে ওই পরিবারের এক বিজেপি কর্মী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২১ ২০:৪২
Share:

বর্ধমান শহরের বাসিন্দা তথা বিজেপি কর্মী নবীন সরকারের পরিবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাদের ঘরছাড়ার অভিযোগ করেছে। —নিজস্ব চিত্র।

বিজেপি করার ‘অপরাধে’ বাড়ি ছাড়ার নিদান দিয়েছে শাসকদল তৃণমূল। সোমবার এমন অভিযোগই করল পূর্ব বর্ধমানের এক বিজেপি কর্মীর পরিবার। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বিধানসভা ভোটে এলাকায় সন্ত্রাস চালিয়েছে ওই পরিবারের এক বিজেপি কর্মী। এলাকায় এ ধরনের দুষ্কৃতীর জায়গা হবে না বলেও সাফ জানিয়েছে তৃণমূল।

Advertisement

বর্ধমান শহরের আলমগঞ্জের বালি বাগানের বাসিন্দা নবীন সরকারের পরিবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাদের ঘরছাড়ার অভিযোগ করেছে। বিজেপি কর্মী নবীনের পরিবার দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে সন্তোষ গিরি নামে এলাকার এক বাসিন্দার বাড়িতে ভাড়া থাকেন। নবীনের মা সুজাতা সরকারের অভিযোগ, “আমার ছেলে ভোটের পর থেকে বাড়িছাড়া। ছেলে বাড়িতে না ফেরায় লোকের বাড়িতে কাজ করে দু’মুঠো খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা বাড়ি ছাড়তে বলছেন। এ অবস্থায় সমস্ত আসবাবপত্র, জামাকাপড় নিয়ে এক প্রতিবেশীর কাছে আশ্রয় নিয়েছি।”

যদিও সুজাতার এই অভিযোগ মানতে নারাজ স্থানীয় তৃণমূল নেত্রী মিঠু সিংহ। তিনি বলেন, “এলাকার অন্য বিজেপি কর্মীদের কোনও রকম হেনস্থা না করে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে তৃণমূল। কিন্তু নবীন সরকার এমন এক বিজেপি কর্মী, যে ভোটের আগে এবং ভোটের দিন রিভলবার নিয়ে সন্ত্রাস চালিয়েছে। সুতরাং এ রকম দুষ্কৃতীর এ এলাকায় ঠাঁই নেই।” মিঠুর দাবি, “নবীনের পরিবারের লোকেরা যথেষ্ট সম্মানের সঙ্গে তাঁর বাড়িতেই রয়েছেন। তাঁর পরিবারকে বাড়িছাড়ার হুমকি দেওয়া হয়নি। এ শিক্ষা তৃণমূল শেখায়নি।”

Advertisement

তৃণমূলের দাবি নিয়ে মুখ খুলেছেন জেলা বিজেপি-র আহ্বায়ক কল্লোল নন্দন। তাঁর দাবি, “তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের ভয়ে আমাদের বহু কর্মী এখনও ঘরছাড়া। বার বার বলা সত্ত্বেও পুলিশ-প্রশাসনের তেমন উদ্যোগ নেই।”

এই রাজনৈতিক তরজার মাঝে রীতিমতো বিপাকে পড়েছেন সুজাতা। ঘরের ছেলে ঘরে ফিরুক— এমনটাই চাইছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন