Death

বাংলো থেকে উদ্ধার দেহ

পুলিশ জানায়, পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে জিতেন্দ্রবাবু বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নিয়ামতপুর শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২০ ০৩:২৮
Share:

এলাকায় পুলিশ। নিজস্ব চিত্র

যে পরিত্যক্ত আবাসনে থাকতেন, তার থেকে বড় জোর দু’শো মিটার দূরে ফাঁকা বাংলো থেকে উদ্ধার হল জিতেন্দ্র পাসোয়ান (৪৫) নামে বেসরকারি সংস্থার এক কর্মীর রক্তাক্ত দেহ। ঘটনাস্থল, পশ্চিম বর্ধমানের নিয়ামতপুরের চিনাকুড়ি। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ দু’নম্বর অঞ্চলে ইসিএলের একটি ফাঁকা বাংলো থেকে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ। দেহের পাশে কয়েকটি মদের বোতল পড়ে ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সেখানে মঙ্গলবার রাতে মদ-জুয়ার আসর বসেছিল। ওই বাংলোর ‘কেয়ারটেকার’-কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

Advertisement

ইসিএলের ১-২ নম্বর শ্রমিক বস্তিতে একটি পরিত্যক্ত আবাসনে সপরিবার থাকতেন জিতেন্দ্রবাবু। পুলিশ জানায়, পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে জিতেন্দ্রবাবু বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি। স্বামীর মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পরে তিন ছেলে-মেয়েকে নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন স্ত্রী প্রতিমা পাসোয়ান। তাঁর দাবি, ‘‘স্বামীর সঙ্গে কারও কোনও শত্রুতা ছিল বলে শুনিনি।’’

কিন্তু কেন এই খুন? আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (পশ্চিম) অনমিত্র দাস বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কেয়ারটেকারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কিছু সূত্র মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে। আপাতত তিনটি কারণ সামনে এসেছে।’’ তদন্তকারীদের একাংশের সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তিনটি কারণ— প্রথমত, পারিবারিক বিবাদ। তাই মৃতের নিকটাত্মীয়ার সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, ওই এলাকায় এর আগেও দু’টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। সেগুলির সঙ্গে কোনও যোগসূত্র আছে কি না, তা দেখা হচ্ছে। তৃতীয়ত, কর্মস্থলে কোনও বিবাদ ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

তবে পুলিশ জানায়, এই মুহূর্তে খোঁজ করা হচ্ছে, ওই জিতেন্দ্রবাবু মঙ্গলবার রাতে কাদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন