সিঁদ কাটার চেষ্টা। —নিজস্ব চিত্র।
বেশ কয়েক ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পরে বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার এক কর্মীর দেহ মিলল। শনিবার সকালে রতিবাটি কোলিয়ারির এজেন্ট বাংলো লাগোয়া এলাকার ঘটনা। শ্রমিক নেতাদের অভিযোগ, এর আগে বেশ কয়েকবার লুঠের ঘটনা ঘটেছে ওই এলাকায়। এ বারেও হয়তো লুঠ রুখতে গিয়েই খুন হতে হল নীলকণ্ঠ খাঁ (৪০) নামে ওই নিরাপত্তাকর্মীকে।
কোলিয়ারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়ার্কশপ লাগোয়া এলাকায় রয়েছে এজেন্ট বাসব চৌধুরীর বাংলো। সেখানেই পাহারার কাজ করতেন বাঁকুড়ার রামপুরের বাসিন্দা নীলকণ্ঠবাবু। বাসববাবু জানান, অন্যান্য দিনের মতো শুক্রবার রাতেও বাংলোর দরজায় পাহারায় ছিলেন নীলকণ্ঠবাবু। বাসববাবু বলেন, ‘‘শনিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ এক কর্মী এসে জানান বাংলো লাগোয়া ওয়ার্কশপের দেওয়ালের একাংশে সিঁদ কাটা রয়েছে। নীলকণ্ঠবাবুকে পাওয়া যাচ্ছে না।’’ এরপরেই শুরু হয় খোঁজ। খানিক বাদে বাংলোর পিছনের ঝোপ থেকে ওই নিরাপত্তাকর্মীর রক্তাক্ত দেহ মেলে। নীলকণ্ঠবাবুর স্ত্রী মমতাদেবী ও বারো বছরের মেয়ে দেহ শনাক্ত করেন।
খুনের খবর চাউর হতেই শ্রমিক সংগঠনগুলি ক্ষতিপূরণের দাবিতে এজেন্টকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়। বাসববাবুর দাবি, বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থাটি ওই কর্মীর পরিবারকে প্রায় ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে। নিরাপত্তা সংস্থাটির তরফে জানানো হয়েছে, মৃতের স্ত্রী’কে চাকরি দেওয়া হয়েছে।
এ দিনের খুনের ঘটনার পরে ফের ইসিএলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সরব হয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলি। আইএনটিইউসি অনুমোদিত কোলিয়ারি মজদুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক চণ্ডী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘দু’বছরের মধ্যে তিন বার সিঁদ কেটে চুরির ঘটনা ঘটল। আমাদের সন্দেহ এ বারেও হয়তো তেমনই পরিকল্পনা ছিল দুষ্কৃতীদের। তাতে বাধা দেওয়াতেই হয়তো খুন হতে হল ওই কর্মীকে।’’ শ্রমিক সংগঠনগুলির অভিযোগ, এ যাবৎ কোনও চুরি বা লুঠেরই কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। রানিগঞ্জ থানার পুলিশ জানিয়েছে, খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃত কর্মীর মাথা, ঘাড়, হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান পুলিশকর্মীরা। দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রস্তুতিসভা। গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির বর্ধমান জেলা কমিটির ২১তম সম্মেলন উপলক্ষে শনিবার রানিগঞ্জে একটি প্রস্তুতিসভা আয়োজিত হল। রানিগঞ্জের ওই সভায় ছিলেন সংগঠনের রাজ্য কমিটির সভাপতি অঞ্জু কর।