বাজেটে জট, সমস্যা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে

এই পরিস্থিতিতে ফিনান্স বিভাগ, অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ও আইনজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:৫০
Share:

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটে জট। —ফাইল ছবি

নভেম্বরের মধ্যে কোর্টের বৈঠক ডেকে বাজেট পাশ করিয়ে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তা অনুমোদনের জন্য উচ্চশিক্ষা দফতরে পাঠানো হয়। এমনটাই দীর্ঘদিনের ‘নীতি’ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের। কিন্তু এ বার সেই কোর্ট-বৈঠকই নানা কারণে বাতিল করেছেন কর্তৃপক্ষ। এই পরিস্থিতিতে সময়ে বাজেট পাশ না হওয়ায় নানা আর্থিক অসুবিধার মধ্যে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে চর্চা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরেই।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে ফিনান্স বিভাগ, অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ও আইনজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এক কর্তার দাবি, “এগজ়িকিউটিভ কাউন্সিলে আলোচনার পরে, কোর্টের বৈঠকে বাজেট পাশ করানোটাই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন। ওই বৈঠক আচার্য বা রাজ্যপালের অনুমতি নিয়ে ডাকতে হয়।’’ তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্তার দাবি, “বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ১০.২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, উপাচার্যকেই বৈঠক ডাকার ক্ষমতা দেওয়া রয়েছে।’’ এই ‘টানাপড়েনে’ বাজেট-সংক্রান্ত বৈঠক আটকে থাকবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে।

এ দিকে, বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, গত কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের টেবিলে ‘বাজেট’ সংক্রান্ত বইটি রয়েছে। সবুজ রঙয়ের প্রচ্ছদের ওই বইয়ের উপরে রয়েছে গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের ছবি। ২৫০ পাতার ওই বইটিই চলতি আর্থিক বছরের বাজেটের পুনর্মূল্যায়ন এবং আগামী আর্থিক বছরের সম্ভাব্য খরচের হিসেব। এ ছাড়া, গত আর্থিক বছরের প্রকৃত খরচের হিসেবও বটে। এই তিন বছরের বাজেট পেশের কথা ছিল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পরিচালন সংস্থা ‘কোর্টে’র সভায়। মঙ্গলবার বেলা ৩টে থেকে সভা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উপাচার্য নিমাইচন্দ্র সাহা অসুস্থ হওয়ায় আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ওই বৈঠক স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। সেই মতো উপাচার্যের নির্দেশে রেজিস্ট্রার বৈঠক স্থগিতের চিঠি পাঠান কোর্ট-সদস্যদের।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স বিভাগের কর্তাদের একাংশের দাবি, বাজেট পুনর্মূল্যায়ন (রিভাইজ়ড বাজেট) কোর্ট-সভায় পাশ না হলে নতুন কিছু কেনা যাবে না। ইউজিসি-র নানা প্রকল্পের টাকা বণ্টন হবে না ঠিকমতো। গবেষকদের টাকাও আটকে থাকবে। কোর্টের এক সদস্যের কথায়, “বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ক্ষেত্রে বড় ক্ষতি হল। গবেষণার জন্য ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি ও আমেরিকা থেকে কয়েকটি কোটি টাকার যন্ত্র কিনতে হয়। রিভাইজ়ড বাজেট পাশ না হওয়ায় ওই সব যন্ত্র কেনার বরাত দেওয়া যাবে না। টাকা ফেরত যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’’

পাশাপাশি, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে উচ্চশিক্ষা দফতরে আগামী বছরের সম্ভাব্য খরচের বাজেট পাঠাতে না পারলে মার্চের মধ্যে অনুমোদন মিলবে না। ফলে, আর্থিক-সঙ্কট তৈরি হতে পারে। বিভিন্ন প্রকল্পের তো বটেই দফতরের প্রাপ্য টাকাও আটকে যাবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement