মিছিলের অনুমতি নিয়ে ফের তরজা

এনআরসি ও সিএএ-র সমর্থনে শুক্রবারের মিছিল উপলক্ষে সকাল থেকেই কালীপাহাড়িতে বাসে করে আসতে থাকেন বিজেপি কর্মী, সমর্থকেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:৪৮
Share:

রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র

বিজেপির মিছিলের অনুমতি নিয়ে তরজা শুরু হয়েছিল আগেই। শুক্রবার মিছিলের দিনে সেই তরজা সপ্তমে চড়ল। বিজেপি নেতৃত্ব পুলিশের বিরুদ্ধে ‘পক্ষপাতমূলক আচরণ’ এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিছিলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। পুলিশের বক্তব্য, নিরাপত্তার স্বার্থেই মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

Advertisement

এনআরসি ও সিএএ-র সমর্থনে শুক্রবারের মিছিল উপলক্ষে সকাল থেকেই কালীপাহাড়িতে বাসে করে আসতে থাকেন বিজেপি কর্মী, সমর্থকেরা। ২টো নাগাদ সেখানে পৌঁছন সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বলেন, ‘‘এখানে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। পুলিশ অনুমতি দেয়নি মিছিলের। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে আমার কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই আমি চলে যাচ্ছি।’’ এর পরে মিছিলের উদ্বোধন করে, তিনি চলে যান। মিছিল শুরুর পরে কালীপাহাড়ি মোড়ে যোগ দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ছিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পলও। ঊষাগ্রামে শনি মন্দিরের কাছে দুপুর ৩টে নাগাদ মিছিল পৌঁছয়।

সেখানে পুলিশের ব্যারিকেডে মিছিল আটকে গেলে নেতা, কর্মীরা জিটি রোডের উপরেই বসে পড়েন। একটি ম্যাটাডর থেকে বিজেপি নেতৃত্ব তৃণমূল ও পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। সরব হন দিলীপবাবু স্বয়ং। পরে বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, ‘‘আমরা ঠিক সময়ে মিছিলের জন্য পুলিশের অনুমতি চেয়েছিলাম। বৃহস্পতিবার রাতে আমাদের ডেকে জানানো হয়, শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে মিছিলের অনুমতি মিলবে না। তৃণমূল ভয় পেয়ে পুলিশ ও প্রশাসনকে দিয়ে মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে।’’ পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর অভিযোগ, ‘‘রাস্তার যা হাল করেছে পুলিশ, তাতে পুরুলিয়া থেকে আসানসোলে আসতেও ভোগান্তি হল। তৃণমূল ও তার পুলিশ অনেক চেষ্টার পরেও মিছিল ব্যর্থ করতে পারল না।’’

Advertisement

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ‘‘সবই বিজেপির মনগড়া কথা। বরাবরের মতো এ দিনও বিজেপি অশান্তি তৈরির চেষ্টা করলেও প্রশাসনের নিরপেক্ষ ও কড়া ভূমিকায় তা সম্ভব হয়নি।’’ পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনারেটের এডিসিপি (‌সেন্ট্রাল) সায়ক দাস বলেন, ‘‘সকাল থেকেই প্রচুর পুলিশ, সিভিক ভলান্টিয়ার, র‌্যাফ মোতায়েন করা হয়েছিল। যা কিছু, সবই আসানসোলের নিরাপত্তা কথা ভেবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন