Anubrata Mondal

অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাবে ইডি, আসানসোল জেলের আবেদনেও সায় দিয়ে দিল সিবিআই আদালত

ইডির কাছ থেকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর বিশেষ সিবিআই আদালতে আবেদন করেছিল আসানসোল জেলা সংশোধনাগার। বৃহস্পতিবার তাতে সায় দিয়েছেন বিচারক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২৩ ১২:৪২
Share:

অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আবেদনে সায় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের। — ফাইল চিত্র।

তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যেতে আপাতত আর কোনও বাধা রইল না এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর। বৃহস্পতিবার তাতে সবুজ সঙ্কেত দিল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতও। ইডির কাছ থেকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর বিশেষ সিবিআই আদালতে আবেদন করেছিল আসানসোল জেলা সংশোধনাগার। তাতে সায় দিয়েছেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। এর কিছুটা পর, ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে পাল্টা আবেদন করেন অনুব্রতের আইনজীবীরা। শুনানিতে দু’পক্ষের সমস্ত যুক্তি শোনার পর সকালে বিচারক যে নির্দেশ দিয়েছিলেন তাই বহাল রাখেন। আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে অনুব্রতের হাই কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। আদালত সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে, বিশেষ সিবিআই আদালতের সেই রায়ের কপি পৌঁছে যায় আসানসোল সংশোধনাগারেও।

Advertisement

দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে চলা ইডির মামলার বিরুদ্ধে দিল্লি হাই কোর্টে গিয়েছেন অনুব্রত। তার শুনানি রয়েছে আগামী ১৭ মার্চ। এর মধ্যেই অনুব্রতকে হাজির করানোর জন্য মঙ্গলবার আরও একটি শমন জারি করে রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। সেই নির্দেশ বুধবার আসানসোল সংশোধনাগারে ইমেল মারফত পাঠায় ইডি। এর পরই বৃহস্পতিবার অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে বিশেষ সিবিআই আদালতে আবেদন করেন সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। সেই অনুমতি মিলেছে। গরু পাচার মামলায় যৌথ ভাবে তদন্ত চালাচ্ছে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইডি। ওই মামলায় গ্রেফতার অন্যতম অভিযুক্ত তথা অনুব্রতের এক সময়ের দেহরক্ষী সহগল হোসেন রয়েছেন তিহাড় জেলে।

গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। এর আগে, গত বছরের শেষ পর্যায়ে তাদের সেই আবেদনে সায়ও দেয় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। কিন্তু তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে বীরভূমের বালিজুড়ি পঞ্চায়েতের মেজে গ্রামের বাসিন্দা শিবঠাকুর মণ্ডল অভিযোগ করেন, ২০২১ সালে অনুব্রত তাঁকে গলা টিপে খুন করার চেষ্টা করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলায় অনুব্রতকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। তিনি ছিলেন দুবরাজপুর থানায়। শিবঠাকুরের সেই অভিযোগের পর সেই যাত্রায় থমকে যায় অনুব্রতের বিরুদ্ধে ইডির পদক্ষেপ।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন