চারিদিকে ঘন জনবসতি। তার মাঝেই ছিল প্রায় দু’বিঘার পুকুর। প্রকাশ্যেই ধীরে ধীরে সে পুকুরের অনেকটাই মাটি ফেলে ভরাট হয়ে গিয়েছিল। আচমকা খবর পেয়ে শহরের জবানিপাড়া এলাকায় হানা দিয়ে মঙ্গলবার সকালে সেই পুকুর ভরাট রুখে দিলেন কালনার পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগ। যে ট্রাক্টরে করে এ দিন মাটি আনা হচ্ছিল, তার চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম জল হালদার। ট্রাক্টরটিকে আটক করা হয়েছে।
কালনা পুরসভায় তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে সিদ্ধান্ত নেয়, ১৮টি ওয়ার্ডে কোথাও কোনও পুকুর ভরাট হতে দেওয়া যাবে না। বরং মজা পুকুরগুলি সংস্কার করা হবে। মাস ছয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী বর্ধমানে এসেও পুরসভার চেয়ারম্যান,পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি,প্রধানদের সতর্ক করেন পুকুর ভরাট নিয়ে। স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকাল আটটা নাগাদ পুরপ্রধান নিজের মোটরবাইকে হঠাৎই চলে আসেন জবানিপাড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে জেনে পৌঁছে যান পুকুর পারে। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন, পুকুরের দু’টি অংশে চলছে ভরাটের কাজ। একটি অংশে প্রায় চার কাঠা এলাকা জুড়ে বালি-মাটি ফেলে ভরাটের কাজ কার্যত শেষ। এর পর আরও কিছু অংশের ভরাটের জন্য লোক লাগিয়ে চলছে মাটি ফেলার কাজ। মাটি নিয়ে আসা হচ্ছে ট্রাক্টরে। পুকুরের অন্য একটি অংশে বাঁশ দিয়ে ঘিরে ফেলেছে এক ব্যক্তি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, খুব দ্রুত সেখানে মাটি ফেলার কাজ শুরু হবে। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে পুরপ্রধান নিজের পরিচয় দিতেই মাটি ফেলতে আসা লোকজন পালায়। তবে ধরা পরে যায় ট্রাক্টর চালক। এর পরেই দেবপ্রসাদবাবু থানায় ফোন করেন। পুলিশ এসে চালককে ধরে। দেবপ্রসাদবাবু বলেন, ‘‘যাঁরা ভরাটের কাজ করছিলেন, তাঁদের বলে দেওয়া হয়েছে, সমস্ত মাটি তুলে নিয়ে পুকুরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে। নাহলে পুরসভা সমস্ত মাটি তুলে ফেলবে। তার খরচ বহন করতে হবে ওঁদের। পুকুর ভরাট নিয়ে লিখিত অভিযোগও থানায় করা হবে।’’ পুরপ্রধানের দাবি, কোথাও কোনও পুকুর ভরাট হলে পুরসভা দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। এর আগেও বারুইপাড়া, জিউধারা এলাকায় পুকুর ভরাট আঠকেছিলেন দেবপ্রসাদবাবু।