Crime

ছাত্রী খুনের তদন্তে নামল সিআইডি

সে দিন ওই ছাত্রীটি মোবাইলে কার সঙ্গে, কতক্ষণ, কী কথা বলেছিলেন, এ সব জানা জরুরি বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এর পরে, সিআইডি এ দিন সমীর ও সুমিতাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা, হিরাপুর শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:৩২
Share:

তদন্তে সিআইডি। শুক্রবার হিরাপুরে। নিজস্ব চিত্র

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক ছাত্রী খুনের অভিযোগ উঠেছিল হিরাপুরে। সে ঘটনার তদন্তভার নিল সিআইডির হোমিসাইড শাখা। বৃহস্পতিবারই সিআইডির একটি দল হিরাপুরে যায়। শুক্রবার সিআইডি দু’জন অভিযুক্তকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। সিআইডি সূত্রে দাবি, নিহত ছাত্রীর মোবাইলটি অভিযুক্তেরা ঘটনাস্থলের অদূরে, নতুনপল্লি দুর্গামন্দির এলাকার একটি পুকুরে ফেলে দিয়েছেন। তা উদ্ধারের চেষ্টা করা হয় এ দিন। পাশাপাশি, ঘটনার নেপথ্যে টাকা আদায়ের কোনও ছক থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমানকরা হচ্ছে।

Advertisement

মঙ্গলবার রাতে নিউটাউন লাগোয়া একটি কচু বন থেকে ছাত্রীটির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সমীর মাড্ডি, সুমিতা হেমব্রম এবং রোহিত হাঁসদা নামে তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তের গোড়াতেই ছাত্রীর মোবাইলটি উদ্ধারে জোর দেওয়া হয়েছিল। সে দিন ওই ছাত্রীটি মোবাইলে কার সঙ্গে, কতক্ষণ, কী কথা বলেছিলেন, এ সব জানা জরুরি বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এর পরে, সিআইডি এ দিন সমীর ও সুমিতাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। পুকুরের ঠিক কোথায় কী ভাবে মোবাইলটি ছোড়া হয়েছিল, তা হাতে-কলমে দেখানোর জন্য সমীরকে একটি ঢিল দেওয়া হয়। সমীর ঢিলটি পুকুরে ছোড়েন। সে মতো ডুবুরি নামিয়েমোবাইলটি খোঁজার চেষ্টা করা হয়। তবে রাত পর্যন্ত তা মেলেনি বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পশ্চিম) অভিষেক মোদী বলেন, “মামলার তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিআইডি। আমরা কিছু ফরেন্সিক সূত্র পেয়েছি। সেগুলি সিআইডিকে জানানো হয়েছে। পরীক্ষাওকরা হচ্ছে।”

গোয়েন্দাদের সূত্রে দাবি, অভিযুক্তেরা তাঁদের কাছে জানিয়েছেন, ছাত্রীটিকে খুন করে কী ভাবে কচু বনে আনা হয়েছিল। এ দিকে, ঘটনাস্থল থেকে আরেক অভিযুক্ত সুমিতার বাড়ি বিপিএল কলোনি কতটা দূরে, তা-ও বুঝতে চেয়েছিলেন গোয়েন্দারা। সে মতো সুমিতাকে নিয়ে ওই কলোনিতেও গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

কেন এই ঘটনা, সে সম্পর্কে কিছু তথ্য হাতে এসেছে বলে সিআইডি সূত্রের খবর। সিআইডি সূত্রের খবর, ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রীকে অপহরণের ‘নাটক’ করে তাঁর বাবার কাছ থেকে মুক্তিপণ বাবদ টাকা আদায় করা। কিন্তু তাতে ওই ছাত্রী রাজি হননি। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্তেরা ওই ছাত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে ফেলে দেয়। তবে ধৃতদের এই দাবি কতটা সত্য, নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, এ সব তথ্য জানতে অভিযুক্তদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হচ্ছে, খবর সিআইডি সূত্রে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন