Political Murder

TMC: তৃণমূল নেতা খুনের তদন্তে আউশগ্রামে সিআইডি, বিজেপি-যোগ খারিজ নিহতের বাবার

নিহতের বাবা তথা দেবশালা পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল বলেন, ‘‘আমাদের এলাকায় বিজেপি ছ’মাস, ন’মাস আগে ছিল। এখন ওদের অস্তিত্বই নেই।"

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আউশগ্রাম শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২১:৩৫
Share:

ঘটনাস্থলে সিআইডি-র তদন্তকারীরা। নিজস্ব চিত্র।

তৃণমূলের যুবনেতা চঞ্চল বক্সি খুনের ঘটনার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই এলাকায় এল সিআইডির তদন্তকারী দল। বুধবার সিআইডির চার তদন্তকারী পূর্ব বর্ধমানের ওই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মঙ্গলবার আউশগ্রামের গেরাইয়ে গুলি করে খুন করা হয়েছিল তৃণমূলের যুবনেতা চঞ্চলকে।

বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ এলাকায় পৌঁছে প্রথমে ঘটনাস্থল সরেজমিনে যান সিআইডি গোয়েন্দারা। তারপর নিহত নেতার বাড়ি দেবশালা গ্রামে গিয়ে খুনের প্রত্যক্ষদর্শী তথা নিহতের বাবা শ্যামল বক্সীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। দলীয় নেতা খুনের ঘটনায় স্থানীয় আউশগ্রাম-২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি রামকৃষ্ণ ঘোষ ও কার্যকরী সভাপতি শেখ আবদুল লালন বিরোধীদল বিজেপি-কে নিশানা করলেও বুধবার নিহতের বাবা তথা দেবশালা পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল বলেন, ‘‘আমাদের এলাকায় বিজেপি বলে আর কিছু নেই। ওরা ছ’মাস, ন’মাস আগে ছিল। এখন ওদের অস্তিত্বই নেই।"

Advertisement

তবে এই খুনে কারা জড়িত? সে বিষয়ে শ্যামল কিছু বলতে চান নি।

মঙ্গলবার আউশগ্রামের গেরাই গ্রামে ব্লক তৃণমূলের কার্যকারী লালনের বাড়িতে অনুষ্ঠান ছিল।ওই অনুষ্ঠানে দলের অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে যোগ দিতে গিয়েছিলেন শ্যামল ও তাঁর ছেলে তথা দেবশালা অঞ্চল তৃণমূলের প্রাক্তন যুব সভাপতি চঞ্চল। বাড়ি ফেরার পথে গেরাই ও দেবশালার মাঝামাঝি এলাকার দু’টি বাইকে চড়ে চার পাঁচজন দুস্কৃতী এসে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। দু’টি গুলি লাগে চঞ্চলের বাইকে। তিনটি গুলি লাগে তাঁর শরীরে। স্থানীয় জামতাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র নিয়ে যাওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়।

Advertisement

ঘটনাস্থল বুদবুদ ও আউশগ্রাম থানার সীমানায় হওয়ায় কোন থানার অধীনে এই মামলার তদন্ত করা হবে, তা নিয়ে চাপানউতোর সৃষ্টি হয়। যদিও বুধবার নিহতের ভাই রাহুল আউশগ্রাম থানায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন।

বুধবার বিকেলে গ্রামে ঢোকার পর এলাকায় কিছুটা উত্তেজনা তৈরি হয়। দিনভর গোটা গ্রাম ছিল থমথমে। দোকান-বাজার ছিল বন্ধ। বুধবার সকালে দেবশালায় আউশগ্রাম-তিলকচন্দ্রপুর রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়দের একাংশ। তাঁদের দাবি ছিল, অবিলম্বে পুলিশ দুষ্কৃতীদের সনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিক।

ব্লক তৃণমূল সভাপতি রামকৃষ্ণ বলেন, ‘‘চঞ্চল আমাদের একজন দক্ষ কর্মী ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বেই বিজেপি-কে পিছনে ফেলে দেবশালা এলাকায় তৃণমূল ভাল ফল করেছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওঁকে খুন করেছে।’’ জেলা বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক শ্যামল রায় অভিযোগ খারিজ করে বলেন, ‘‘এর সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই খুন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন