Coronavirus

Cleaning staffs: ওঁরা সাফাই করেন, পিপিই কিট ছাড়াই!

পুরসভার দাবি, বরো কার্যালয়ের মাধ্যমে নিয়মিত মাস্ক, হাতশুদ্ধি ও সাবান দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২২ ০৮:২৮
Share:

বিধাননগরে সাফাইয়ের কাজে ব্যস্ত কর্মীরা। বুধবার। নিজস্ব চিত্র।

করোনা সংক্রমণ রুখতে দুর্গাপুর শহরে তিনটি ওয়ার্ডে ‘কন্টেনমেন্ট জ়োন’ করা হয়েছে। সে সব এলাকায় বিনা ‘পিপিই কিট’-এ কাজ করতে হচ্ছে পুরসভার অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের, এমনই অভিযোগ আইএনটিইউসি অনুমোদিত ‘ডিএমসি ক্যাজুয়াল সাফাই কর্মী ইউনিয়ন’-এর। এর জেরে, তাঁদের সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে বলে দাবি।

Advertisement

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা প্রশাসনের পরামর্শ মেনে দুর্গাপুরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের অশোক অ্যাভিনিউ, শিবাজি রোড, রানা প্রতাপ রোড, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের উদয়শঙ্কর বীথি, বেঙ্গল অম্বুজা, রিকল পার্ক, সেন্ট্রাল পার্ক এবং ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইমনকল্যাণ সরণি, রোকেয়া বেগম পথ, শিল্পকানন বি ৪১৬, শিল্পকানন ফেজ় থ্রি, সালারপুরিয়া আবাসন এলাকায় ‘কন্টেনমেন্ট জ়োন’ করা হয়েছে। তিনটি ওয়ার্ডে যথাক্রমে ৩৫ জন, ৪৭ জন এবং ৪৯ জন সাফাইকর্মী রয়েছেন। এ ছাড়াও রয়েছেন, সাফাইয়ের কাজে ব্যবহৃত ভ্যান ও মোটরভ্যানের কর্মীরা।

ওই সংগঠনটির সম্পাদক সুভাষ সাহা জানান, নর্দমা সাফাই থেকে শুরু করে জীবাণুমুক্ত করার কাজ করতে হচ্ছে সাফাইকর্মীদের। তাঁর অভিযোগ, “জুতো, পোশাক, দস্তানা, সাবান-সহ অন্য সরঞ্জামের দাবিতে আন্দোলন করতে হয়। তা-ও সে সব সবাই পান না। করোনা সংক্রমণের সময়ও অনেকে চপ্পল পরে কাজ করছেন। হাতে দস্তানা নেই।” তাঁর সংযোজন: কার্যত প্রাণের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে কাজ করে চলেছেন। অন্যদের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাচ্ছেন। অথচ, সাফাই কর্মীদের নিজেদেরই কোনও নিরাপত্তা নেই। তাঁদের মাস্ক, স্যানিটাইজ়ারও দেওয়া হয়নি পুরসভা থেকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সাফাইকর্মী সংবাদমাধ্যমের একাংশের কাছে বলেন, “আমরা জানি না, কোন বাড়িতে কে আক্রান্ত! অথচ, আমরা এলাকায় কাজ করছি। সে সব বাড়ি জীবাণুমুক্ত করার কাজ করছি।” তাঁরা জানান, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে যে ভাবে কাজ করেন, সে ভাবেই এখনও বাড়ি-বাড়ি গিয়ে আবর্জনা সংগ্রহের কাজও করছেন তাঁরা। সুভাষের দাবি, এর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিন জন সাফাইকর্মীর মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

পুরসভার দাবি, বরো কার্যালয়ের মাধ্যমে নিয়মিত মাস্ক, হাতশুদ্ধি ও সাবান দেওয়া হচ্ছে। মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) রাখি তিওয়ারি বলেন, “গামবুট, মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার, সাবান নিয়মিত দেওয়া হয়। কিন্তু অনেকে তা না পরেই কাজ করেন। পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজন হলে, ভবিষ্যতে পিপিই কিটের কথাও ভাবা হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement