কমব্যাট ফোর্স। নিজস্ব চিত্র
তেমন কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে অনেক সময়েই সশস্ত্র পুলিশ আনতে হয় ব্যারাক থেকে। গোটা প্রক্রিয়ায় বেশ কিছুটা সময় খরচ হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। এমনই নানা অভিজ্ঞতা থেকে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট কমব্যাট ফোর্স তৈরি করেছে। এই ফোর্স শুধুমাত্র কমিশনারেট এলাকাতেই কাজ করবে বলে জানা গিয়েছে।
সম্প্রতি আসানসোল, দুর্গাপুরের নানা এলাকায় একাধিক শোভাযাত্রা সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করতে এই বাহিনী পথে নেমেছিল। বাহিনীর পরিচালনায় ছিলেন একাধিক পদস্থ পুলিশকর্তা। বাহিনীর দায়িত্বে থাকা ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) অভিষেক গুপ্তা জানান, জেলার প্রতিটি থানা থেকে বাছাই করা একশো জন হোমগার্ডকে নিয়ে এই বাহিনী তৈরি হয়েছে। তাঁদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়েছেন অভিজ্ঞ পুলিশ অফিসারেরা।
কেমন সেই প্রশিক্ষণ? অভিষেকবাবু জানান, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ঠাণ্ডা মাথায় মারমুখী জনতাকে ছত্রভঙ্গ করা, কোনও গোলমালে সাধারণ মানুষ আটকে পড়লে, তাঁদের বার করে আনার মতো নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পুলিশকর্তাদের দাবি, এই বাহিনী তৈরি করে তার সুফলও মিলছে। তবে এই বাহিনীর সদস্যদের হাতে থাকছে না কোনও আগ্নেয়াস্ত্র। থাকছে লাঠি ও ঢাল।
সম্প্রতি আসানসোলের একাধিক এলাকায় রথের শোভাযাত্রা বেরনোর সময়ে দেখা গিয়েছে, কালো পোশাক গায়ে এই বাহিনীর সদস্যরা শহরের নানা এলাকায় কড়া নজরদারি চালাচ্ছেন।
কিন্তু কেন এই বাহিনীর দরকার পড়ল? পুলিশকর্তাদের একাংশের ব্যাখ্যা, সম্প্রতি শিল্পাঞ্চলে কিছু অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সময়ে বাহিনী তৈরির প্রয়োজনীয়তা টের পাওয়া যায়। তাঁদের মতে, দ্রুত নিজস্ব প্রশিক্ষিত কমব্যাট ফোর্স নামানো গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যেত সহজেই। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে র্যাফ বা কমব্যাট ফোর্স নামাতে কিছুটা দেরিও হয়েছিল বলেও মনে করছেন পুলিশকর্তারা। অভিষেকবাবুর আশা, ‘‘কমিশনারেটের তত্ত্বাবধানে তৈরি এই বাহিনীর কারণে যে কোনও রকম পরিস্থিতি নিজেরাই প্রাথমিক ভাবে সামাল দিতে পারব।’’