হকার উচ্ছেদে কমিটি শহরে

হকার উচ্ছেদ নিয়ে জট ছাড়াতে বৃহস্পতিবার বৈঠক করল আসানসোল পুরসভা। শহর সুন্দর করতে কড়া পদক্ষেপ থেকে পিছু হঠবে না পুরসভা, বৃহস্পতিবার তা বুঝিয়ে দেন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:৩৮
Share:

হকার উচ্ছেদ নিয়ে জট ছাড়াতে বৃহস্পতিবার বৈঠক করল আসানসোল পুরসভা। শহর সুন্দর করতে কড়া পদক্ষেপ থেকে পিছু হঠবে না পুরসভা, বৃহস্পতিবার তা বুঝিয়ে দেন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সাত দিনের মধ্যে একটি কমিটি গড়ে হকার সমস্যা মেটানো হবে বলে জানান তিনি। বৈঠকে উপস্থিত হকাররা মেয়রের সঙ্গে সব রকম সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।

Advertisement

আসানসোল বাজার-সহ শহরের নানা এলাকায় ফুটপাথে হকারের সমস্যা বহু দিনের। পুর প্রশাসনের তরফে কয়েক বার উচ্ছেদের পরিকল্পনা হয়েছে। এমনকী, পুনর্বাসন দিয়ে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু সমস্যা রয়েই গিয়েছে। সপ্তাহখানেক আগে পুরসভার তরফে ফের উদ্যোগ শুরু হয়। জিটি রোডের ফুটপাথ-সহ শহরের সর্বত্র সরকারি জমির দখলদারদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উঠে যাওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করেন পুর কর্তৃপক্ষ। এর পরেই বিরোধিতা শুরু করেন হকাররা। তৃণমূল প্রভাবিত হকার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শঙ্কর চক্রবর্তীর নেতৃত্বে শহরে প্রতিবাদ-মিছিল, পুরসভায় স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। মেয়র জানান, হকারদের সঙ্গে বৈঠক করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।

এ দিন রবীন্দ্রভবনে বৈঠকে হাজার দেড়েক হকারের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও একাধিক মেয়র পারিষদ। ছিলেন বিরোধী দলনেতা সিপিএমের ওয়াসিমুল হক, কংগ্রেসের পরিষদীয় নেতা অভিজিৎ আচার্য এবং বিজেপির পরিষদীয় নেতা ভৃগু ঠাকুর। হকারদের পক্ষে তৃণমূল নেতা রবিউল ইসলাম জানান, তাঁরা পুরসভার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে নন। কিন্তু এমন ব্যবস্থা করা হোক যাতে হকারদের আয়ের পথ বন্ধ না হয়। বিরোধী দলগুলির নেতারাও পুরসভার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে দাবি করেছেন, হকারদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করেই পরিকল্পনা হোক।

Advertisement

মেয়র জানান, শহরের পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি তুলে ধরা পুরসভা ও নাগরিকদের কর্তব্য। তিনি বলেন, ‘‘আসানসোলের গায়ে দেশের দ্বিতীয় অপরিষ্কার শহরের তকমা বসেছে। আমরা ছ’মাসের মধ্যে এই শহরকে দেশের এক নম্বর করে তুলতে চাই। সে জন্য আপনাদের সাহায্য দরকার।’’ তাঁর এই বক্তব্যকে সমর্থন জানান উপস্থিত হকাররা। মেয়র জানান, পুসভার তরফে সামান্য ভাড়ায় নির্দিষ্ট জায়গায় হকারদের জন্য স্টল করে দেওয়া হবে। ব্যবসা করার লাইসেন্সও দেওয়া হবে। পুরসভার সচিবের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা তৈরি করবে। প্রাথমিক ভাবে গোপালপুর থেকে কালিপাহাড়ি পর্যন্ত রাস্তার পাশে বসা হকারদের জন্য এই ব্যবস্থা লাগু হবে বলে পুরসভা জানিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন