টোটোয় তুলে গণধর্ষণের নালিশ

রেশন নিতে যাওয়ার পথে নাবালিকাকে টোটোয় তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল পড়শি চার জন যুবকের বিরুদ্ধে। শনিবার সন্ধ্যায় রানিগঞ্জের মহাবীর কোলিয়ারি এলাকার ঘটনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানিগঞ্জ শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৬ ০০:১৭
Share:

—প্রতীকী ছবি।

রেশন নিতে যাওয়ার পথে নাবালিকাকে টোটোয় তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল পড়শি চার জন যুবকের বিরুদ্ধে। শনিবার সন্ধ্যায় রানিগঞ্জের মহাবীর কোলিয়ারি এলাকার ঘটনা। এই ঘটনার অভিযোগ হওয়ার পরে জানা গেল, অভিযুক্তদের এক জন আগেও মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছিল।

Advertisement

ওই নাবালিকার পরিবার ভাড়া বাড়িতে থাকে। নির্যাতিতার বাবা লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, শনিবার সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ তাঁর মেয়ে বাড়ির মালিকের রেশন আনতে যায়। কিছুটা দূরেই গলিতে দাঁড়িয়েছিল আকাশ রাওয়ানি নামে এলাকারই এক যুবক ও তার তিন সঙ্গী। গলিতে নাবালিকাকে একা পেয়ে জোর করে তাকে একটি টোটোয় তোলে আকাশ, তার সঙ্গী কিষাণ ডোম নামে দু’জন, রাজেশ রাওয়ানি। নাবালিকাটি যাতে চেঁচাতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে তার মুখ বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, ওই চার জন নাবালিকাকে মহাবীর কোলিয়ারি এলাকার একটি জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনার কথা বাড়িতে জানালে বাবা-মাকে খুন করে দেওয়ার হুমকিও দেয়। এর পরে সেখানেই ওই নাবালিকাকে ফেলে রেখে চম্পট দেয় অভিযুক্তেরা।

নাবালিকার বাবা জানান, মেয়ে বাড়ি না ফেরায় খোঁজ শুরু করেন তাঁরা। অন্য দিকে, মেয়েটি স্থানীয় কয়েক জন মহিলার সাহায্যে রাত আটটা নাগাদ বাড়িতে ফিরে আসে। খানিক বাদে অসুস্থ হয়ে পড়লে বাড়িতে সব কিছু জানায়। বছর চোদ্দোর মেয়েটির অভিযোগ, মাস খানেক আগেও কাজ দেওয়ার নাম করে আকাশ তাকে রানিগঞ্জের কলেজপাড়ায় ও চিত্তরঞ্জনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। কিন্তু, প্রতিবারই খুনের হুমকি দেওয়ায় ঘটনার কথা বলতে পারেনি সে। নাবালিকার বাবার আরও অভিযোগ, তাঁরা যখন রানিগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যান, তখন তাঁদের বাড়িতে চড়াও হয় কিষাণ ও রাজেশ। ওই নাবালিকাকে ফের হুমকি দেয় তারা।

Advertisement

এই ঘটনা মনে পড়িয়ে দিচ্ছে, ২০১৩ সালের মধ্যমগ্রামের ধর্ষণ-কাণ্ডের কথা। রাজ্য তোলপাড় করে দেওয়া সেই ঘটনায়, ভিন্ রাজ্যের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল সাত জনের বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়, গণধর্ষণের অভিযোগ করে ফেরার পথে ওই কিশোরীকে ফের ধর্ষণ করে অভিযুক্তেরা। পরে সেই কিশোরীকে মধ্যমগ্রাম স্টেশনে ফেলে রেখে চলে যায় তারা। পরে সেই নাবালিকা রহস্যজনক ভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়।

রানিগঞ্জের ঘটনার অভিযুক্ত পাঁচ যুবকই গা ঢাকা দিয়েছে। তাদের পরিবারের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, গণধর্ষণের মামলা রুজু করে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। আসানসোল জেলা হাসপাতালে নাবালিকার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন