রাস্তায় ইভটিজিং, ভাঙচুর গুসকরায়

ইভটিজিংয়ের অভিযোগে অশান্ত হয়ে উঠল গুসকরা। আদিবাসী নৃত্য দেখিয়ে বাড়ি ফেরা কয়েক জনের উপরে কিছু যুবক চড়াও হয় বলে অভিযোগ ওঠে শনিবার রাতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুসকরা শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৭ ০২:৩৪
Share:

লন্ডভন্ড: ভাঙচুর হয় এই গুমটিতে।

ইভটিজিংয়ের অভিযোগে অশান্ত হয়ে উঠল গুসকরা। আদিবাসী নৃত্য দেখিয়ে বাড়ি ফেরা কয়েক জনের উপরে কিছু যুবক চড়াও হয় বলে অভিযোগ ওঠে শনিবার রাতে। প্রতিবাদে রবিবার সকালে আদিবাসীরা জড়ো হয়ে লাইনপাড়ে একটি গুমটিতে ভাঙচুর চালায়। বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাট। শহরে টহল দিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে পুলিশ।

Advertisement

শনিবার রাত ১১টা নাগাদ বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ-সহ জনবহুল নানা জায়গায় আদিবাসী নৃত্য দেখিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন শহরের ধারাপাড়া-বাগানপাড়ার দশ জন মহিলা ও ছ’জন পুরুষ। অভিযোগ, রাস্তায় একটি পুজো মণ্ডপের কাছে গোলমাল বাধে। কয়েক জন যুবক ওই পুরুষ-মহিলাদের মারধর করে। সেখান থেকে কোনও ভাবে পালিয়ে এসে একটি গাড়িতে করে আহতেরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার সময়ে লাইনপাড়ে ফের তাঁরা আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। মারধরে জখম হয়ে গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করাতে হয় কয়েক জনকে। সেখান থেকে ফেরার সময়েও ওই যুবকদের সঙ্গে বচসা-হাতাহাতি হয়।

শহরে টহল পুলিশের।

Advertisement

এই খবর পাওযার পরে রবিবার সকালে গোলমাল বাধে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন স্থানীয় আদিবাসীরা জড়ো হয়ে গুসকরা ফাঁড়িতে অভিযোগ জানাতে যান। তির-ধনুক-লাঠি হাতে ফাঁড়ির দিকে যাওয়ার পথে কয়েকজন লাইনপাড়ে থাকা ওই গুমটি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যান। প্রায় ২৫০ জন গুসকরা ফাঁড়িতে গিয়ে অভিযুক্তদের ধরার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা চার-পাঁচ জনের নামে ইভটিজিং ও মারধরের অভিযোগও জানিয়েছেন। এ দিন বর্ধমানের ডিএসপি (শৃঙ্খলা ও প্রশিক্ষণ) মীর সাকির আলির নেতৃত্বে পুলিশ শহরে টহল দিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে।

স্থানীয় কাউন্সিলর জয়প্রকাশ রায় বলেন, ‘‘আদিবাসী নাচ দেখিয়ে বাড়ি ফেরার সময়ে মহিলাদের উত্ত্যক্ত করেছিল মত্ত কয়েক জন যুবক। তার জেরেই অশান্তি বেধেছে।’’ বর্ধমানের এক পুলিশকর্তা বলেন, “ডিএসপি-র নেতৃত্বে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরার জন্য জোর তল্লাশি চলছে।”

—নিজস্ব চিত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন