Pond Filling

খান্দরায় পুকুর ভরাট ঘিরে ‘মারামারি’ দু’গোষ্ঠীর

খান্দরা শ্মশানের উল্টো দিকে ‘লোধনা’ নামে একটি পুকুর আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, সম্প্রতি পুকুরের পাড় ঘেঁষা জায়গা বিক্রির চেষ্টা শুরু হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

অণ্ডাল শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:৪৯
Share:

পথ অবরোধ। নিজস্ব চিত্র

পুকুর ভরাট করাকে কেন্দ্র তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ‘মারামারি’ হয়েছে, এমনটাই দাবি এলাকাবাসীর একাংশের। মঙ্গলবার অণ্ডালের খান্দরা গ্রামের ঘটনা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় যায় পুলিশ। অণ্ডাল থানা জানায়, সন্ধ্যা পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ হয়নি। তবে এলাকায় পুলিশ রয়েছে।তদন্ত চলছে।

Advertisement

খান্দরা শ্মশানের উল্টো দিকে ‘লোধনা’ নামে একটি পুকুর আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, সম্প্রতি পুকুরের পাড় ঘেঁষা জায়গা বিক্রির চেষ্টা শুরু হয়েছে। পাড় কেটে ফেলা হচ্ছে। এই জমি বিক্রিকে কেন্দ্র করে দক্ষিণখণ্ড পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূলের অনন্ত ঘোষের সঙ্গে লাগোয়া খান্দরা পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য গণেশ বাদ্যকরের অনুগামীদের মধ্যে বেশ কয়েকদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। তাঁরা জানান, এ দিন পুকুর পাড় ঘেঁষে মাটি কাটার কাজ চলছিল। দুপুর ২টো নাগাদ সেখানে জনা দশেক অনুগামীকে নিয়ে পৌঁছন অনন্তবাবু। তিনি কাজ করতে বাধা দিলে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা থেকে মারামারি শুরু হয়। অনন্তবাবুর দাবি, ‘‘কয়েকদিন ধরে কিছু বাসিন্দা আমার কাছে পুকুর ভরাটের অভিযোগ জানিয়ে আসছেন। তাই বিডিও এবং ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জানানোর আগে এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে ছবি তুলছিলাম।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘সেখানে যেতেই গণেশের নেতৃত্বে আমাকে ও সঙ্গীদের মারধর করা হয়। বিষয়টি দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছি।’’

সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গণেশবাবু। তাঁর দাবি, তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। জমির মালিকের হয়ে নির্মাণ কাজ করার জন্য গ্রামের কয়েকজন দিনমজুর মাটি কাটার কাজ করছিলেন। তা ছাড়া, পুকুর ভরাট বা বেআইনি ভাবে জমি বিক্রির অভিযোগ থাকলে তা দেখার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, ‘‘টাকা না দিলে কাজ করতে দেবেন না বলে অনন্তবাবু দিনমজুরদের হুমকি দেন। এর পরেই গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ তাঁকে বাধা দেন। তিনিও দিনমজুরদের মারধর করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে আমাকেও অনন্তবাবু ধাক্কা মেরে ফেলে দেন।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘এর পরে অনন্তবাবু ওই এলাকা থেকে চলে যান। কিন্তু খান্দরা গ্রামের কয়েকজন দক্ষিণখণ্ড পঞ্চায়েতের ময়রায় মোষ চরাতে গেলে তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয়।’’ এর প্রতিবাদে খান্দরার বাসিন্দারা ১০ মিনিট খান্দরা গ্রামের সামনে অণ্ডাল-উখড়া রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। তিনিও বিষয়টি দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছেন।

Advertisement

এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ‘‘বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন