ধর্মঘট: বিক্ষোভ বাসকর্মীদের। আসানসোলে। নিজস্ব চিত্র
অটোর সঙ্গে বিবাদের জেরে বুধবার দুপুরে আবার আচমকা ধর্মঘট করলেন মিনিবাসের কর্মীরা। নাকাল হলেন শহরবাসী। এদিন দুপুর ১২টা থেকে ২টো পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ করে দেন মিনিবাস কর্মীরা। পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে দু’ঘণ্টা পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। কিন্তু কর্মীরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন জানিয়ে আজ, বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্ট কাল ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাস ও মিনিবাসের সংগঠন।
গত ৭২ ঘণ্টায় এ নিয়ে দু’বার অটোর সঙ্গে বিবাদে মিনিবাস চলাচল বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখালেন কর্মীরা। সোমবার সকালে স্টেশন রোডে যাত্রী তোলা নিয়ে বাসকর্মীদের সঙ্গে অটোর চালকদের বিবাদ বাধে। প্রায় আধ ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ চলে। সে দিনও পুলিশের তরফে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে বাস চলা শুরু হয়। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ সিটি বাসস্ট্যান্ডে মিনিবাস ঢোকা-বেরনোর রাস্তায় হঠাৎ প্রায় শ’দুয়েক অটো দাঁড়িয়ে পড়ে। যাত্রিবাহী মিনিবাস স্ট্যান্ডে ঢুকতে-বেরোতে অসুবিধা হওয়ায় কর্মীরা অটোচালকদের সরে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেন। কিন্তু অভিযোগ, অটোচালকেরা সরে দাঁড়ানোর বদলে বাসকর্মীদের উপরে চড়াও হন।
এর পরেই দুপুর ১২টা নাগাদ মিনিবাস চলাচল বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন কর্মীরা। ঘণ্টাখানেক পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। জোর করে বিক্ষোভ থামানোর চেষ্টা, ছ’জন বাসকর্মীকে আটক করে পুলিশ। তাতে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে। বাস চালাতে বেঁকে বসেন কর্মীরা। বেগতিক বুঝে পুলিশ অটোচালকদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয়। এর খানিক পরে বাস চলাচল শুরু হয়।
বারবার অটো-মিনিবাসের বিবাদের জেরে আচমকা বাস বন্ধ হওয়ায় নাকাল হচ্ছেন শহরবাসী। কেন এই বিবাদের স্থায়ী মীমাংসা হচ্ছে না, প্রশ্ন তুলছেন যাত্রীরা। মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুদীপ রায় বলেন, ‘‘বাসের রুটে অটো চলায় কর্মীদের আয় মার খাচ্ছে। আমরা প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছি। সব সমাধান তাঁদের হাতেই।’’ বাসকর্মীরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় তাঁরা আপাতত বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে তিনি জানান।
তৃণমূলের আসানসোল শিল্পাঞ্চল সভাপতি ভি শিবদাসন জানান, তাঁরা এই বিবাদ মেটানোর জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেছেন। আসানসোলের মহকুমাশাসক প্রলয় রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘দু’পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে সমাধানসূত্র বের করা হবে।’’