Coronavirus

সীমানায় থাকছে পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য-দল

জেলাশাসক পূর্ণেন্দুবাবু বলেন, ‘‘ভিন্-রাজ্যের বাসিন্দাদের প্রবেশের বিষয়ে সরকারি নির্দেশিকাগুলি পালন করা হচ্ছে। ভাল ভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০২০ ০৩:৫২
Share:

পরিদর্শনে কর্তারা। নিজস্ব চিত্র

কেন্দ্র ও রাজ্য— দুই সরকারেরই দাবি অনুযায়ী পশ্চিম বর্ধমান রয়েছে ‘অরেঞ্জ জ়োন’-এ। এই পরিস্থিতিতে কিছু ক্ষেত্রে ছাড় পেয়েছেন জেলার বাসিন্দারা। কিন্তু সীমানা যাতে আরও আঁটসাঁট থাকে, তা দেখতে মঙ্গলবার পরিদর্শনে গেলেন জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) পূর্ণেন্দু মাজি, আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুকেশকুমার জৈন।

Advertisement

পুলিশ-প্রশাসন জানিয়েছে, সীমানা নিয়ে একটি রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। জেলায় কুলটির বরাকর ও ডুবুরডিহি, সালানপুরের বিহার রোড, চিত্তরঞ্জনের এক নম্বর গেট ও বারাবনির রুনাকুড়া ঘাট, এই পাঁচটি এলাকায় পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড সীমানা রয়েছে। বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ডুবুরডিহি ও বিহার রোড সীমানা।

জেলাশাসক পূর্ণেন্দুবাবু বলেন, ‘‘ভিন্-রাজ্যের বাসিন্দাদের প্রবেশের বিষয়ে সরকারি নির্দেশিকাগুলি পালন করা হচ্ছে। ভাল ভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে।’’ পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘মঙ্গলবার থেকে একটি পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য-দল সীমানায় থাকবে। ভিন্-রাজ্য থেকে আসা মানুষজনের লালারসের নমুনা সংগ্রহ ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হবে। তার পরে পরিস্থিতি বিচার করে রাজ্যে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে।’’

Advertisement

এ দিকে, ডুবুরডিহি সীমানায় গত রবিবার থেকে রাজ্যে ঢোকার জন্য বাস ও গাড়িতে প্রায় দু’শো জন অপেক্ষা করছেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা যায়। সালানপুরের বিহার রোডেও প্রায় শতাধিক পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্যে ঢোকার অপেক্ষা করছেন। কিন্তু তাঁরা কতটা সুস্থ ও কী অবস্থায় আছেন, সে বিষয়ে কোনও তথ্য এখনও পর্যন্ত নেই বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে খোলা আকাশের তলায় দিন কাটাতে হওয়ায় সীমানায় আটকে থাকা মানুষজন বিক্ষোভও দেখাচ্ছেন। তবে পুলিশের বক্তব্য, বিষয়টি অমানবিক। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মানতেই হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement