Coronavirus

‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্পে আবেদন করা নিয়ে কাটছে না ধন্দ

মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের এক কর্তা দাবি করেন, ‘‘পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে স্পষ্ট নিয়ম তৈরি না হওয়া পর্যন্ত ‘গুগল প্লে স্টোরে’ অ্যাপটি পাওয়া যাবে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০২০ ০৪:০৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

‘লকডাউন’-এর জেরে কাজহারা মানুষজনকে এককালীন অর্থ সাহায্য দিতে ‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্প শুরু করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু প্রথম দু’দিনই প্রচেষ্টা অ্যাপ ‘ডাউনলোড’ করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন প্রাপকদের একাংশ। ১৫ মে পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলবে। কিন্তু তথ্যমিত্র কেন্দ্র, সাইবার ক্যাফে বন্ধ থাকায় কী ভাবে অ্যাপ মিলবে, কী ভাবে ফর্ম পূরণ হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না।

Advertisement

মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের এক কর্তা দাবি করেন, ‘‘পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে স্পষ্ট নিয়ম তৈরি না হওয়া পর্যন্ত ‘গুগল প্লে স্টোরে’ অ্যাপটি পাওয়া যাবে না। তবে কী ভাবে প্রকল্পের সুবিধা মিলবে, কারা এই সুবিধা পাবেন তার নির্দেশিকা রয়েছে।’’ জানা গিয়েছে, যাঁরা সামাজিক সুরক্ষার যোজনার সুযোগ-সুবিধা বা সামাজিক পেনশন পান না, এমনকি, কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত নন বা একশো দিনের প্রকল্পে জব-কার্ড নেই তাঁরাই এই প্রকল্পের সুযোগ নিতে পারবেন। অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদেরও পরিবারে একক-রোজগার হতে হবে। এই প্রকল্পে মাথাপিছু এককালীন এক হাজার টাকা পাবেন ওই সব শ্রমিকেরা।

২৭ এপ্রিল থেকে ‘প্রচেষ্টা’র ফর্ম নেওয়া শুরু হয়েছিল। প্রথম দিনেই জেলায় ২৭ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়ে। তবে সামাজিk দূরত্ব বজায় রাখায় মুশকিল হওয়ায় হাতেহাতে ফর্ম দেওয়া ও জমা নেওয়া বাতিল করে দেয় রাজ্য। ‘অ্যাপ’-এর মাধ্যমে ফর্ম পূরণ করার কথা বলা হয়।

Advertisement

এ দিন কালনার আমলাপুকুরের বাসিন্দা, পেশায় দিনমজুর সুরব খাঁ বলেন, ‘‘ভাইয়ের মোবাইল থেকে অনেক চেষ্টা করেও ফর্ম পূরণ করতে পারিনি। গরিব মানুষ টাকাটা পেলে ভাল হত।’’ অসংগঠিত শ্রমিকদের একাংশের দাবি, প্রচেষ্টা প্রকল্পের ‘ওয়েবসাইট’ থেকে ‘অ্যাপ’টি ডাউনলোড করা গেলেও, শেষ পর্যন্ত ফর্ম পূরণ করা যাচ্ছে না। মেমারি শহরের জয়দেব ক্ষেত্রপাল, সামুদ আলমদের কথায়, ‘‘আমাদের ওই ফোন (অ্যান্ড্রয়েড) নেই। পরিচিতদের ফোন থেকে ফর্ম পূরণের চেষ্টা করছি। কিন্তু পারছি না।’’ কেতুগ্রামের উদ্ধারণপুরের তাপস মাঝি, সুব্রত মজুমদারেরা বলেন, ‘‘লকডাউনের জন্য দেড় মাস কোনও আয় নেই। এক হাজার টাকার বড় দরকার ছিল। কিন্তু ফর্মই পূরণ করতে পারলাম না।’’ এ দিন ‘স্মার্ট ফোন’ নেই এমন অনেকেও কী ভাবে ফর্ম পূরণ করবেন তা জানতে জেলাশাসকের দফতরে এসেছিলেন।

বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি (বর্ধমান সদর) সন্দীপ নন্দীর দাবি, ‘‘এই প্রকল্পে অনেক মানুষ উপকৃত হতেন। কিন্তু প্রচেষ্টা প্রকল্পটিকে নিচু স্তর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা দেখা গেল না।’’ জেলা তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্তর পাল্টা দাবি, “প্রকল্পটি যে ভাল, সেই স্বীকৃতি তো বিরোধীরাই দিচ্ছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement