প্রতীকী ছবি।
‘লকডাউন’ চলাকালীন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্রের কর্মীদের বেতন দেওয়া-সহ নানা দাবিতে জামুড়িয়ার ইকড়া শিল্পতালুকে মঙ্গলবার ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভ দেখাল সিটু। পাশাপাশি, বকেয়া বেতন চেয়ে সালানপুর ব্লকের ইস্পাত অনুসারী একটি বেসরকারি কারখানায় বিক্ষোভ দেখান ঠিকাকর্মীদের একাংশ।
সিটু নেতৃত্ব জানান, ইকড়া শিল্পতালুকে ১৪টি স্পঞ্জ আয়রন-সহ ২৫টি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্রের কারখানা রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ‘লকডাউন’-এর সময়ে কর্মীদের বেতন দেওয়ার নির্দেশ দিলেও, সংস্থাগুলি তা মানছে না বলে অভিযোগ। ২৩ মার্চ থেকে কর্মীদের বেতন দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। সিটু নেতা মনোজ দত্ত জানান, তাঁদের দাবিপত্র দাবিপত্র মহকুমাশাসকের (আসানসোল) দফতরে জমা দেওয়া হয়েছে। ‘জামুড়িয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্টিজ়’-এর সম্পাদক অজয় খেতান বলেন, ‘‘বকেয়া বেতন মেটানোর জন্য দ্রুত পদক্ষেপ করবে বিভিন্ন সংস্থাগুলি।’’
পাশাপাশি, পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য সুষ্ঠু রেশন ব্যবস্থা, তাঁদের জন্য ‘র্যাপিড টেস্ট’-এর ব্যবস্থা করা, ঠিকাকর্মী, নির্মাণকর্মী, পরিচারিকাদের পাশে দাঁড়াতে আরও বেশি প্রশাসনিক-সক্রিয়তারও দাবি জানিয়েছে সিটু। সেই সঙ্গে গ্রামে-গ্রামে জীবাণুনাশক ছড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে।
এ দিকে, বকেয়া বেতন চেয়ে সালানপুর ব্লকের ওই বেসরকারি কারখানার গেটে এ দিন ঠিকাকর্মীদের একাংশ বিক্ষোভ দেখান। এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, করোনা-সতর্কতায় নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে অন্তত ৫০ জন ঠিককর্মী বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তাঁদের অভিযোগ, গত দু’মাস বেতন দেওয়া হয়নি। তাঁদের দাবি, এ দিন বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঠিকাকর্মী সুশীল সিংহ বলেন, ‘‘লকডাউন-এ কাজ বন্ধ। আর্থিক অনটনে দিন কাটছে। কী ভাবে সংসার চালাব, জানি না।’’
সালানপুরে বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন সালানপুর ও কল্যাণেশ্বরী ফাঁড়ির পুলিশকর্মীরা। ঠিকাদার ও কারখানা কর্তৃপক্ষর সঙ্গে পুলিশ কথা বলে। পুলিশ জানায়, আলোচনায় জানানো হয়েছে আগামী ২৪ এপ্রিলের মধ্যে এক মাসের বকেয়া বেতন দেওয়া হবে। এর পরেই বিক্ষোভ ওঠে।