Coronavirus

খাবার নিয়ে যৌনকর্মীদের পাশে শিক্ষক

নিয়ামতপুরের চবকায় এক ফালি সিমেন্টের চাতাল। দু’পাশে পুলিশ ব্যারাকের মতো লম্বাটে কয়েকটি ছোট ছোট খুপরি ঘর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কুলটি শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২০ ০২:১৮
Share:

চলছে খাওয়া। নিজস্ব চিত্র

‘লকডাউন’ পরিস্থিতির জেরে খাবার, অর্থ হাতে নেই কুলটির চবকার যৌনকর্মীদের। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছিল ‘দুর্বার মহিলা সমন্বয় সমিতি’। সেই আহ্বানে সাড়া দিতে এগিয়ে এলেন আসানসোলের শিক্ষক চন্দ্রশেখর কুণ্ডু এবং নিয়ামতপুর পুলিশ ফাঁড়ির আধিকারিক পলাশ মণ্ডল।

Advertisement

নিয়ামতপুরের চবকায় এক ফালি সিমেন্টের চাতাল। দু’পাশে পুলিশ ব্যারাকের মতো লম্বাটে কয়েকটি ছোট ছোট খুপরি ঘর। সিমেন্টের চাতালে খেলা করছে কয়েকটি শিশু। ইতস্তত ছড়িয়ে জনা কয়েক মহিলা। পেশায় যৌনকর্মী ওই মহিলারা জানালেন, ‘লকডাউন’-এর ফলে তাঁদের পেট চালানোটাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে দুর্বারের আহ্বানের কথা জেনে মঙ্গলবারই পলাশবাবুকে সঙ্গে নিয়ে এলাকায় যান চন্দ্রশেখরবাবু। এর পরে বুধবার থেকে দিনে দু’বার রান্না করা খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে যৌনকর্মীদের। চন্দ্রশেখরবাবু বলেন, “কয়েক বছর ধরে আসানসোলের একাধিক বস্তি এলাকায় প্রায় সাড়ে তিনশো শিশুকে রান্না করা খাবার খাওয়াচ্ছি আমরা। তবে এমন অভিজ্ঞতা এই প্রথম।’’

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, চবকায় প্রায় ৩৪৪ জন যৌনকর্মী রয়েছেন। দুর্বারের তরফে স্মরজিৎ জানা বলেন, “এই মহিলারা আর্থিক ভাবে খুবই দুর্বল। ‘লকডাউন’ পরিস্থিতিতে তাঁদের দু’বেলা খাবার জুটছে না। তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের কাছে আবেদন করা হচ্ছে। সাড়াও মিলছে।’’

পাশাপাশি, আসানসোল পুরসভার মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির নেতৃত্বে কুলটির ছাত্র-যুবদের নিয়ে গঠিত ‘এগিয়ে বাংলা’ সংগঠনও গত কয়েক দিন ধরে চবকায় রান্না করা খাবার পরিবেশন করছে।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেনআপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন