Coronavirus

বেতন চেয়ে শ্রমিক-ক্ষোভ কারখানায়

দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের বেসরকারি কারখানাগুলিতে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিক-বিক্ষোভ নতুন নয়। এই কারখানায় ফেব্রুয়ারি থেকে বেতন বকেয়া রয়েছে বলে শ্রমিকদের অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২০ ০২:০৮
Share:

দুর্গাপুরের কোকআভেন থানা এলাকায় কারখানার সামনে জটলা ক্ষুব্ধ শ্রমিকদের।

গত তিন মাস বেতন মেলেনি। এই অভিযোগে এবং দ্রুত বকেয়া বেতনের দাবিতে দুর্গাপুরের কোকআভেন থানা এলাকার বেসরকারি ইস্পাত-অনুসারী কারখানায় বিক্ষোভ দেখালেন শ্রমিকদের একাংশ। তাঁদের অনেকেই ভিন্-রাজ্যের বাসিন্দা।

Advertisement

দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের বেসরকারি কারখানাগুলিতে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিক-বিক্ষোভ নতুন নয়। এই কারখানায় ফেব্রুয়ারি থেকে বেতন বকেয়া রয়েছে বলে শ্রমিকদের অভিযোগ। সকালে শ’দুয়েক শ্রমিক বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিক্ষোভকারীরা জানান, তাঁদের অধিকাংশের বাড়ি উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ডে। ‘লকডাউন’-এর জেরে আটকে পড়েছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার বেতন মেটানোর দাবি জানানো হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে জানিয়ে অর্ধেক বেতন দেওয়ার কথা জানান বলে দাবি। তবে, এ দিন কারখানায় গিয়ে কোনও আধিকারিকেরই দেখা মেলেনি বলে অভিযোগ।

ওই শ্রমিকদের অনেকেই দুর্গাপুরে ঘরভাড়া নিয়ে সপরিবার করেন। বিক্ষোভকারীদের তরফে পবন গুপ্ত বলেন, ‘‘ঘরভাড়া বাকি। হাতে টাকা নেই। এ বার কী খাব, জানি না। পুরো বেতন না দিলে পরিবার নিয়ে কারখানার সামনে অবস্থানে বসব।’’ পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও শ্রমিকেরা জানান, বকেয়া না মেটানো পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। এর পরেই পুলিশ কারখানার এক প্রতিনিধিকে ডেকে পাঠায়। তিনি এলে তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকেরা। তবে ওই প্রতিনিধি সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও কথা বলতে চাননি।

Advertisement

ঘটনার কথা জানতে পেরে কারখানায় পৌঁছন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক তথা আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি বিশ্বনাথ পাড়িয়াল। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তিনি কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসার আশ্বাস দেন। আলোচনার পরে বিশ্বনাথবাবু জানান, আজ, বুধবার কারখানার স্থায়ী শ্রমিকদের বেতন মেটানো হবে। ৫ মে-র মধ্যে ঠিকাকর্মীদের বকেয়া এক মাসের বেতন দেওয়া হবে। তার পরে ধাপে ধাপে বাকি বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে তাঁকে জানিয়েছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। বিধায়ক বলেন, ‘‘লকডাউনের সময়ে কর্মীদের পুরো বেতন দিতে হবে। এটাই সরকারি নির্দেশ। সব কারখানাকেই সেই নির্দেশ মানতে হবে।’’

বিধায়কের আশ্বাসে শান্ত হন বিক্ষোভকারীরা। তবে এ দিন বিক্ষোভকারীরা ‘মাস্ক’ পরে এলেও, পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখার বিধি মানেননি বলে অভিযোগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন