গণপিটুনি মামলায় আদালতে দেখা হল ভিডিয়ো

২০১৭ সালে ২০ জানুয়ারি কালনা শহরের বারুইপাড়া এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে গাছে ওষুধ স্প্রে করতে আসা নদিয়ার কয়েকজনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় দু’জনের। এই মামলায় পুলিশ আদালতে ২৬ জনের নামে চার্জশিট জমা দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৯ ০৬:৩৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

বারুইপাড়া গণপিটুনি মামলায় এ বার কালনা আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য সমন পাঠানো হচ্ছে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির (সিএফএসএল) আর এক আধিকারিক পি পাল রমেশকে। আইনজীবীরা জানান, ২ এপ্রিল অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারকের এজলাসে তাঁর সাক্ষ্যের দিন ধার্য হয়েছে। এই মামলায় পুলিশ ঘটনার যে ভিডিয়ো উদ্ধার করে সিএফএসএলে পাঠিয়েছিল, শনিবার সেগুলি আদালতে দেখানো হয়।

Advertisement

২০১৭ সালে ২০ জানুয়ারি কালনা শহরের বারুইপাড়া এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে গাছে ওষুধ স্প্রে করতে আসা নদিয়ার কয়েকজনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় দু’জনের। এই মামলায় পুলিশ আদালতে ২৬ জনের নামে চার্জশিট জমা দেয়। গ্রেফতার করা হয় ১৯ জনকে। তাদের মধ্যে এখন সাত জন জামিনে মুক্ত। বাকিরা হাজতে রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গণপিটুনিতে আহতেরা কালনা উপ-সংশোধনাগারে টিআই প্যারেডে পাঁচ জনকে শনাক্ত করেন।

আইনজীবীরা জানান, এই মামলার শুনানি-পর্ব শেষের দিকে। ঘটনার পরেই পুলিশ একটি মোবাইল ফোন, সিডি এবং বেশ কিছু ছবি পরীক্ষার জন্য সিএফএসএল পাঠায়। মাসখানেক আগে সিএফএসএলের ডিরেক্টর কাননবালা জেনাকে সাক্ষ্যদানের জন্য ডেকে পাঠায় আদালত। তিনি হাজিরও হন। আইনজীবীদের দাবি, আদালতে তিনি জানান, পুলিশের পাঠানো মোবাইল, সিডি থেকে তিনি একটি ডিভিডি করেছিলেন। তবে ছবি-সহ বেশ কিছু জিনিসপত্র তিনি পাঠিয়েছেন পদার্থবিদ্যা বিভাগে। শনিবার আদালতে সাক্ষ্যদানের জন্য ফের ডেকে পাঠানো হয়। এ দিন তাঁকে ছবি, ভিডিয়ো সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মূলত অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

তবে শুক্রবার আদালতের কাছে সিএফএসএলের পদার্থবিদ্যা বিভাগের একটি রিপোর্ট জমা পড়ে। সেই রিপোর্টের কপি অভিযুক্ত পক্ষের হাতেও তুলে দেওয়া হয়। তবে মামলা চলাকালীন সরকারি পক্ষের আইনজীবী মলয় পাঁজা আদালতে সিএফএসএলের পদার্থবিদ্যা বিভাগের সহকারী ডিরেক্টরকে আদালতে সাক্ষ্য দিতে হাজির করানোর আবেদন করেন। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক তপনকুমার মণ্ডল তা মঞ্জুর করেন।

এ দিনই আদালতে বিচারকের নির্দেশে পুলিশের উদ্ধার করা ভিডিয়োগুলি চালানো হয়। আইনজীবীরা জানান, মোট তিনটি ভিডিয়ো চালানো হয়। বিচারক থেকে আইনজীবীরা সেগুলি দেখেন। অভিযুক্ত পক্ষের এক আইনজীবী অতনু মজুমদার বলেন, ‘‘২ এপ্রিল আদালতে সাক্ষ্য দিতে সমন পাঠানো হচ্ছে সিএফএসএলের পদার্থবিদ্যা বিভাগের এক আধিকারিককে। তাঁকে ছবি, ভিডিয়োর বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন