Kaji Najrul Islam University

CPM: পার্থের বিশেষ পরিচিত মোনালিসার বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বেআইনি নিয়োগ’ নিয়ে সিপিএমের বিক্ষোভ

কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বেআইনি নিয়োগ’ হয়েছে। এই অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় ঘেরাও করে সিপিএম। মৌখিক দাবিও জানান তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২২ ১৬:২১
Share:

কালি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে সিপিএমের ঘেরাও কর্মসূচি। — নিজস্ব চিত্র।

এসএসসি দুর্নীতির অভিযোগকে সামনে রেখে এ বার আসানসোলের কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ঘেরাও অভিযান করল সিপিএম। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বেআইনি নিয়োগের’ অভিযোগ তুলেছেন আন্দোলনকারীরা। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে একগুচ্ছ দাবিও পেশ করেছেন তাঁরা।

Advertisement

কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বেআইনি নিয়োগ’ হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় ঘেরাও করেন সিপিএম নেতারা। আন্দোলনকারীরা মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয় পৌঁছন। পুলিশের সামনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেট ধাক্কা দিয়ে খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন বিক্ষোভকারীরা। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সিপিএম নেতা-কর্মীরা আরও একটি গেট ধাক্কা দিয়ে খোলার চেষ্টা করেন। তবে পরীক্ষা থাকায় ওই গেট খুলতে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। আগামিদিনে ‘পরিচ্ছন্ন বিশ্ববিদ্যালয়’ গড়ার ডাক দিয়েছেন সিপিএম নেতানেত্রীরা। তাঁরা কোদাল-বেলচা নিয়ে ‘আগাছা সাফাই’ অভিযানের কথা ঘোষণা করেছেন। কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বৃহস্পতিবার ছিলেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে বিক্ষোভকারীরা ‘দুর্নীতি’র তদন্তের দাবি তুলেছেন। আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অপসারণের দাবি তুলেছেন। পাশাপাশি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান মোনালিসা দাস-সহ কয়েক জন অধ্যাপকের শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রকাশ্যে আনার দাবিও তুলেছেন।

ঘেরাও অভিযানে ছিলেন সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘চাকরির ক্ষেত্রে দুর্নীতি, স্বজনপোষণ এবং ঘুষ দেওয়াকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এর পিছনে বড় চক্রান্ত আছে। বড় চক্রান্তের খেই কিছুটা ধরা গিয়েছে। সেই খেই ধরে টান দিলে সরকারটা পড়ে যাবে। মোনালিসা ম্যাডাম কিসের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন না? এই বিশ্ববিদ্যালয়কে চোরের বাসা করতে দেব না। পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গলরাজ চলছে।’’

Advertisement

সিপিএমের মিছিল থেকে আসানসোলের তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলা হয়। তা নিয়ে তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি বিধান উপাধ্যায় বলেন, ‘‘সকলের বিক্ষোভ করার অধিকার আছে। তবে নেতা-মন্ত্রীদের গালাগাল দেওয়াটা ওদের (সিপিএম) দলের সংস্কৃতি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন