ঠান্ডা কমতেই ধসার প্রকোপ কালনায়

ঠান্ডা কমতেই কালনার বিস্তীর্ণ এলাকায় আলু চাষে নাবি ধসা ও গাছের কাণ্ড পচা রোগ দেখা দিয়েছে। চাষি ও কৃষি দফতরের আশঙ্কা, এই পরিস্থিতিতে কালনা তো বটেই, জেলারও আলু চাষে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:১৫
Share:

ঠান্ডা কমতেই কালনার বিস্তীর্ণ এলাকায় আলু চাষে নাবি ধসা ও গাছের কাণ্ড পচা রোগ দেখা দিয়েছে। চাষি ও কৃষি দফতরের আশঙ্কা, এই পরিস্থিতিতে কালনা তো বটেই, জেলারও আলু চাষে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে।

Advertisement

কৃষি দফতর জানায়, কালনার পাঁচটি ব্লকে প্রায় ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে আলুর চাষ করে ফলন হয় প্রায় চার লাখ মেট্রিক টন। এ বার চাষের গোড়া থেকেই সমস্যা হচ্ছে বলে জানান চাষিরা। কী রকম? প্রথমত, নোট বদলের জেরে লোকসানের ভয়ে খেত থেকে আমন ধান তুলতে দেরি হওয়ায় আলু চাষের মরসুম অন্তত ২০ দিন পিছিয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয়ত, টাকার জোগান কম থাকায় অনেকেই ভিন্ রাজ্যের সংশোধিত বীজ ব্যবহার করতে পারেননি।

তবে শেষ রক্ষা হয়নি বলেই মনে করছেন চাষিরা। সুলতানপুর পঞ্চায়েতে প্রথমে নাবি ধসার প্রকোপ দেখা যায়। পরে বাঘনাপাড়া, সিমলন, আটঘোরিয়া, বেগপুর, কাকুরিয়া, নান্দাই পঞ্চায়েতেও আলুতে এই রোগ দেখা যাচ্ছে। কৃষি দফতর জানায়, সমস্যা চরম আকার নিয়েছে বৈদ্যপুর, বড়ধামাস, বাদলা, অকালপৌষ পঞ্চায়েতে। কাশীপুরের কাশীনাথ দাসের আক্ষেপ, ‘‘আমন ধানে লাভ হয়নি। এ বার ধসা ছড়াল। চাষের খরচই উঠবে না।’’ সিঙ্গেরকোন গ্রামের চাষি সুরেন্দ্রনাথ কুণ্ডু বলেন, ‘‘বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন জমিতে কাণ্ড পচা রোগও ছড়িয়েছে।’’

Advertisement

সহ কৃষি আধিকারিক নিলয় কর জানান, কাণ্ড পচা রোগ রুখতে লিটার প্রতি জলে তিন গ্রাম ভ্যালিডামাইসিন জাতীয় ওষুধ গুলে স্প্রে করতে হবে। কৃষি আধিকারিক পার্থ ঘোষ জানান, নাবি ধসা রুখতে জমিতে প্রতি লিটার জলে ডাইমিথোমর্ফ ও ম্যানকোজেবের মিশ্রণ তিন গ্রাম মিশিয়ে স্প্রে করলে সুফল মিলতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন