রং খেলার সঙ্গে চলল খাওয়াও
দুর্গাপুর: বসন্ত উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করল দুর্গাপুরের বেশ কয়েকটি সংস্থা। ২০১৩ সাল থেকে ‘গীতাঞ্জলি’ নামে একটি সাংস্কৃতিক সংস্থা বসন্ত উৎসবের আয়োজন করে। এ বারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। যোগ দিয়েছিলেন শান্তিনিকেতন থেকে আসা শিল্পীরাও। ইস্পাত নগরীর কুমারমঙ্গলম পার্কে রণজিৎ গুহ ও মধুমিতাদেবী নামে এক প্রবীণ দম্পতির উদ্যোগে দীর্ঘদিন ধরে উৎসব পালিত হয়ে আসছে। রং খেলার সঙ্গে ছিল পাত পেড়ে খাওয়া-দাওয়ারও আসর। ‘রম্যবীণা’ নামে এক সংস্থা শনিবার চিলড্রেন্স অ্যাকাডেমিতে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করে। সংস্থার সদস্যরা পরিবেশন করেন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বসন্ত উৎসব উপলক্ষে বর্ধমানেও বিভিন্ন অনুষঅঠানের আয়োজন করা হয়। রবীন্দ্র পরিষদের উদ্যোগে বোরহাট রবীন্দ্র ভবনে ছিল সঙ্গীত, নৃত্য ও কবিতা পাঠের আসর। একশোরও বেশি শিল্পী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বলে জানান পরিষদের সম্পাদক আশিস বিশ্বাস। বর্ধমান টাউন হল ময়দানে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ ন্যাশনাল অ্যাপ্লায়েড আর্টের উদ্যোগে দু’দিনের উৎসবের আয়োজন করা হয়। সংস্থার তরফে মুখ্য আধিকারিক দেবেশ ঠাকুর জানান, জেলা ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের লোকশিল্পীরা উৎসবে যোগ দেন।
আলোচনাসভা
বর্ধমান: ইতিহাস ও পুরাতত্ত্ব বিষয়ে একটি আলোচনাসভার আয়োজন করল বর্ধমান হেরিটেজ অ্যাসোসিয়েশন। সভাটি হয় তিনকনিয়ার জাগরী সভাকক্ষে। সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সর্বজিৎ যশ জানান, বর্ধমান জেলার স্থাপত্যের ইতিহাসের ধারাটিকেই বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে সভায়। সভায় বক্তব্য রাখেন রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি ও কলকাতা ভাস্কর ভবনের কিউরেটর বসুদেব মালিক। ছিলেন বর্ধমান হেরিটেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রঙ্গনকান্তি জানা।
অরণ্যে নজর
বর্ধমান: অরণ্য সপ্তাহ উপলক্ষে বর্ধমান বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্যোগে অরণ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে ক্যুইজ, প্রবন্ধ ও অঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। জেলার বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়ারা প্রতিযোগিতায় যোগ দেয়। পুরস্কার প্রদান করেন ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির শিক্ষক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়, বিজ্ঞান কেন্দ্রের আধিকারিক নিরঞ্জন গুপ্ত।
সাহিত্য সমাবেশ
দুর্গাপুর: নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের দুর্গাপুর শাখার বার্ষিক সাহিত্য অধিবেশন ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজিত হল রবিবার। উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক অভিমুন্য মাহান্ত। সংস্থার তরফে স্নেহাশিস মুখোপাধ্যায় জানান, অনুষ্ঠানে পত্রিকার প্রকাশও করা হয়।
‘স্পর্শে’র গান
কাটোয়া: প্রভাতী ও সান্ধ্য সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা আয়োজিত হল কাটোয়ায়। আয়োজনে ‘স্পর্শ’ নামে এক সাংস্কৃতিক সংস্থা। অনুষ্ঠানে যোগ দেয় ১১টি নাচের দল। সংস্থার তরফে রানা চট্টোপাধ্যায় জানান, অনুষ্ঠান শেষ হয় লোপামুদ্রার গানের মাধ্যমে। মোট ১৫০ জন নৃত্যশিল্পী ও সঙ্গীতশিল্পী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
স্কুলে অনুষ্ঠান
দুর্গাপুর: বার্ষিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করল বিদ্যাসাগর মডেল স্কুলের পড়ুয়ারা। সেলের কো-অপারেটিভ প্রেক্ষাগৃহে হওয়া ওই অনুষ্ঠানে আবৃত্তি, নাচ, গান, নাটক-সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে পড়ুয়ারা।
কৃতীদের পুরস্কার
বর্ধমান: ছাত্র কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে দুঃস্থ ও কৃতী পড়ুয়াদের পুরস্কৃত করা হল। বর্ধমানের রবীন্দ্র ভবনে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সফল ৮ জন প্রতিযোগীকে পুরস্কৃত করা হয়। সভাপতিত্ব করেন প্রবীর ভট্টাচার্য।
ধ্রুপদ নৃত্য
কাটোয়া: মৌশ্রী নৃত্য উপাসনা নামে একটি সংস্থার বার্ষিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হল দাঁইহাটের লাবণ্যময়ী মঞ্চে। সংস্থার তরফে মৌশ্রী রক্ষিত জানান, ধ্রুপদাঙ্গীকের বিভিন্ন নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পীরা। প্রায় ৬০ জন শিল্পী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
বর্ধমান: বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হল বর্ধমান রবীন্দ্র ভবনে। উদ্বোধন করেন আইন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মানিক চক্রবর্তী। পড়ুয়ারা গান, নাচ, কবিতা, নাটক প্রভৃতি পরিবেশন করে।
পল্লিকবি স্মরণে
কাটোয়া: কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের স্মৃতিতে সভার আয়োজন করল ‘অজয়’ সাহিত্য পত্রিকা। কবির সৃষ্টি নিয়ে আলোচনা করেন শিক্ষক প্রণব রায় ও পত্রিকার সম্পাদক তারকেশ্বর চট্টোরাজ। ছিল স্বরচিত কবিতা পাঠের আসরও।
আঁকা প্রতিযোগিতা
বর্ধমান: শাঁখারিপুকুর অগ্রদূত সঙ্ঘের উদ্যোগে আয়োজিত হল আঁকা প্রতিযোগিতার। সম্পাদক বিবেকানন্দ সেন জানান, ৩২২ জন প্রতিযোগিতায় যোগ দেয়।