খুচরোর অভাব, জোগানে আশঙ্কা মাছের বাজারে

নগদ টাকার অভাবে ডায়মন্ডহারবারের নগেন্দ্র মাছবাজার থেকে মাছ আসছে না। ভিন্ রাজ্য থেকেও মাছ আমদানিরও একই অবস্থা। আর এই দুইয়ের ফেরে সমস্যায় পড়েছেন দুর্গাপুরের মাছ ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৬ ০০:৫৩
Share:

চিন্তায় দুর্গাপুরের মাছ বিক্রেতারা। নিজস্ব চিত্র।

নগদ টাকার অভাবে ডায়মন্ডহারবারের নগেন্দ্র মাছবাজার থেকে মাছ আসছে না। ভিন্ রাজ্য থেকেও মাছ আমদানিরও একই অবস্থা। আর এই দুইয়ের ফেরে সমস্যায় পড়েছেন দুর্গাপুরের মাছ ব্যবসায়ীরা। আপাতত, স্থানীয় মাছচাষিদের থেকে মাছ কিনে জোড়াতালি দেওয়া গেলেও খুচরো টাকার অভাবে তাও কত দিন চলবে তা নিয়ে আশঙ্কায় মাছ ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

দুর্গাপুরের সবথেকে বড় মাছের বাজার বেনাচিতিতে। রয়েছে প্রায় ৪০টি মাছের আড়ত। এখানে ডায়মন্ডহারবার থেকে ৩০-৪০ কুইন্ট্যাল সামুদ্রিক মাছ এবং ভিন্ রাজ্য থেকে ১২০ কুইন্ট্যাল মাছ আসে। এখান থেকে মাছ সরবরাহ করা হয় রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া, বীরভূমের বোলপুর ও সিউড়িতে। বেনাচিতি মৎস্য বাজার সমিতির তরফে জানানো হয়েছে, খুচরো টাকার সঙ্কটের জেরে গত পাঁচ দিন ধরে অন্ধ্রপ্রদেশের মাছ ব্যবসায়ীরা আর গাড়ি পাঠাচ্ছেন না। ব্যাঙ্ক থেকে একসঙ্গে বেশি টাকা না মেলায় অন্ধ্রপ্রদেশ-সহ ভিন্ রাজ্যের ব্যবসায়ীদের টাকা পাঠানো যাচ্ছে না বলে জানান সমিতির সম্পাদক রঞ্জিত সাহা।

বেনাচিতির মাছের আড়তদার কালীদাস ধীবর জানান, এই পরিস্থিতিতে ওড়িশার মাছ বিক্রেতারা বেঁকে বসলে সমস্যা আরও বাড়বে। ওড়িশা থেকে সাধারণ ভাবে ১০-১৫ কুইন্ট্যাল সামুদ্রিক মাছ বেনাচিতি বাজারে আসে। কিন্তু ওই রাজ্যের ব্যবসায়ীরাও জানিয়ে দিয়েছেন, খুচরোয় টাকা মেটাতে হবে। রঞ্জিতবাবুর আশঙ্কা, ‘‘বাজারে এখনও কিছু চালানি মাছ রয়েছে। তা শেষ হওয়ার আগে পরিস্থিতি না বদলালে সমস্যা আরও বাড়বে।’’

Advertisement

শহরের বিভিন্ন পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী জানান, এখন বহু আড়তদারই পাঁচশো ও হাজারের নোট নিচ্ছেন না। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় মাছচাষিদের কাছ থেকে মাছ কিনে পরিস্থিতির সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও ধীরে ধীরে সেখানেও খুচরো-সঙ্কটের প্রভাব পড়ছে বলে দাবি মাছ বিক্রেতাদের। বেনাচিতি বাজারে বিভিন্ন স্থানীয় জলাশয় থেকে সাধারণত ৭০-৮০ কুইন্ট্যালের মতো মাছ আসে। খুচরো টাকার অভাবে এই পরিমাণও কমছে বলে জানা গিয়েছে। মামড়া বাজারের মাছ বিক্রেতা স্বপন দাস, বিশ্বজিৎ দাসেদের কথায়, ‘‘লোকাল মাছের দাম খানিকটা বেড়েছে। তবে খুচরোর অভাবে মাছ বিক্রি বেশ খানিকটা কমে গিয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement