মূক-বধির কিশোরীকে গণধর্ষণের নালিশ, ধৃত

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে মন্তেশ্বর থানার বাঘাসন গ্রামে দিদির বাড়িতে বেড়াতে যায় চন্দ্রপুরের বাসিন্দা, বছর সতেরোর ওই কিশোরী। বিকেলে সাইকেল চ়ড়ে সে বাড়ি ফিরছিল। চারটে নাগাদ দাসপাড়ার মোড়ে একটি বিশ্রামাগারের সামনে দাঁড়িয়েছিল সে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৮ ০০:৩০
Share:

প্রতীকী ছবি।

আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে এক মূক-বধির কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল কাটোয়ার চন্দ্রপুরে। পুলিশ জানায়, এই অভিযোগে দু’জন যুবককে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে মন্তেশ্বর থানার বাঘাসন গ্রামে দিদির বাড়িতে বেড়াতে যায় চন্দ্রপুরের বাসিন্দা, বছর সতেরোর ওই কিশোরী। বিকেলে সাইকেল চ়ড়ে সে বাড়ি ফিরছিল। চারটে নাগাদ দাসপাড়ার মোড়ে একটি বিশ্রামাগারের সামনে দাঁড়িয়েছিল সে। অভিযোগ, পিছন থেকে একটি মোটরবাইকে দু’জন যুবক মেয়েটির জামা ধরে টানে। সেই সময়ে ওই কিশোরী বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তার মুখে ঘুষিও মারা হয় বলে অভিযোগ। এর পরেই ওই নাবালিকাকে বিশ্রামাগারের পিছনের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। কিছু ক্ষণ পরে ওই কিশোরীর গোঙানির আওয়াজ শুনে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ততক্ষণে অবশ্য চম্পট দেয় কার্তিক নন্দী ও ছোটন সীট নামে দুই অভিযুক্ত। স্থানীয়েরা সিভিক ভলান্টিয়ারের সাহায্যে নাবালিককে বাড়িতে পৌঁছে দেয়।

শুক্রবার দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ওই কিশোরীর মা। পুলিশ জানায়, কিশোরী ওই দুই যুবককে চিনিয়েও দেয়। বছর একুশের কার্তিকের বাড়ি ওই গ্রামেরই ছোটডাঙার পাড় ও ছোটনের বাড়ি হাজরাবনেরপাড়ে।

Advertisement

কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, ওই দুই যুবক প্রায়শই চন্দ্রপুর কলেজের বাইরে দাঁড়িয়ে থেকে ছাত্রীদের উত্যক্ত করত। শুক্রবার কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। এসডিপিও (কাটোয়া) ত্রিদিব সরকারর বলেন, ‘‘ওই যুবকদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন