ভোট নষ্ট করবেন না, বার্তা অনুব্রতর

গত বিধানসভা ভোটে কেতুগ্রাম ১ ব্লক ১৪ হাজার ৮৬৫ ভোটে তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও কেতুগ্রাম ২ ব্লকে ১৩৬৭ ভোটে পিছিয়ে ছিল দল। এ দিন কেতুগ্রাম ২ ব্লককেই পাখির চোখ করেন অনুব্রত। দুই ব্লক মিলিয়ে ১৭টি  অঞ্চলের সভাপতিদের ডেকে কত ভোটার, গত ভোটে কোন বুথে কত ভোটে  পিছিয়ে বা এগিয়ে ছিল সেই তথ্য জানতে চাওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৯ ০৪:০৬
Share:

অনুব্রত মণ্ডল।—ফাইল চিত্র।

কাউকে ‘লিড’ দেওয়ার হুঁশিয়ারি, কারও ‘লিড’ করতে পারার আত্মবিশ্বাস দেখে সাধুবাদ জানানো, এককথায় লোকসভা ভোটে বিধানসভার ফলকে ছাপিয়ে যেতে কর্মীদের নির্দেশ দিলেন কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট ও আউশগ্রামের তৃণমূল পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল। সোমবার দুপুরে কেতুগ্রাম ১ ব্লকের কান্দরায় ও বিকেলে কেতুগ্রাম ২ ব্লকের মুরুন্দিতে কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। সেখানে ভোটে ‘লিড’ না দিলে কর্মীদের ছেঁটে ফেলারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

Advertisement

গত বিধানসভা ভোটে কেতুগ্রাম ১ ব্লক ১৪ হাজার ৮৬৫ ভোটে তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও কেতুগ্রাম ২ ব্লকে ১৩৬৭ ভোটে পিছিয়ে ছিল দল। এ দিন কেতুগ্রাম ২ ব্লককেই পাখির চোখ করেন অনুব্রত। দুই ব্লক মিলিয়ে ১৭টি অঞ্চলের সভাপতিদের ডেকে কত ভোটার, গত ভোটে কোন বুথে কত ভোটে পিছিয়ে বা এগিয়ে ছিল সেই তথ্য জানতে চাওয়া হয়। বিধায়ক শেখ সাহানেওয়াজও কর্মীদের বলেন, ‘‘কেতুগ্রাম ২ ব্লকের বেশ কিছু অঞ্চল সিপিএম অধ্যুষিত ছিল। কিন্তু এখন তৃণমূলের সংগঠন মজবুত। মহিলা কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে রাজ্য সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে ভোট চেয়ে আসতে হবে।’’

এ দিন সীতাহাটির অঞ্চল সভাপতি পাঁচ হাজার ভোটে ‘লিড’ দেওয়ার কথা বললে তাঁকে সাধুবাদ জানান অনুব্রত। ওখানকার কর্মীরা দাবি করেন, উদ্ধারণপুর থেকে শিলুড়ি পর্যন্ত বেহাল রাস্তা সংস্কার করে দিলে ছ’হাজার ভোটে ‘লিড’ দেবেন তাঁরা। আবার কোশিগ্রাম পঞ্চায়েতর ১৫টি বুথের ১৪টিতেই তৃণমূলের পিছিয়ে থাকার পিছনে অঞ্চলে অশান্তির কথা বলেন অঞ্চল সভাপতি। কাটোয়ার কে কে ‘বিরক্ত’ করছেন তা পর্যবেক্ষক অরিন্দম বন্দোপাধ্যায়কে জানানোর নির্দেশ দেন অনুব্রত। শেষে ব্লক সভাপতি বিকাশ মজুমদারকে প্রকাশ্য মঞ্চে কুড়ি হাজার ভোটে ‘লিড’ না দিলে দল থেকে বহিষ্কার করার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। নিয়মিত বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের সুযোগ-সুবিধা দেখার কথা বলেন তিনি। অনুব্রতর কথায়, ‘‘ভোট নষ্ট করবেন না। এটা মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ভোট।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement