‘চাঁদনি’ বাঁচানোর ডাক এ বার মঞ্চে

এক সময় সেখানে বসত বর্ধমান মহারাজার মজলিশ। পূর্ণিমার রাতে চারপাশ হিল্লোলিত হত ছন্দ-সুরে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উধাও সেদিন। মজলিশের কেন্দ্র দিগনগর গ্রামের জলাশয়ের উপরে তৈরি স্থাপত্যটুকুও জীর্ণ। সেই স্থাপত্যকেই বাঁচিয়ে তোলার আবেদন জানানো হল মঞ্চে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আউশগ্রাম শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:১০
Share:

এক সময় সেখানে বসত বর্ধমান মহারাজার মজলিশ। পূর্ণিমার রাতে চারপাশ হিল্লোলিত হত ছন্দ-সুরে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উধাও সেদিন। মজলিশের কেন্দ্র দিগনগর গ্রামের জলাশয়ের উপরে তৈরি স্থাপত্যটুকুও জীর্ণ। সেই স্থাপত্যকেই বাঁচিয়ে তোলার আবেদন জানানো হল মঞ্চে। এ ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের নাট্য দলগুলির পরিবেশনাও দেখতে পেলেন দর্শকেরা। এ ভাবেই গত কয়েক দিন ধরে আউশগ্রামে নাটকের জোড়া অনুষ্ঠানে মাতলেন দর্শকেরা।

Advertisement

আউশগ্রামের রামনগরে তিন দিনের নাট্যোৎসবের আয়োজন করে রামনগর বান্ধব সমিতি। সমিতির সম্পাদক শিবাজি মিত্র জানান, মোট ছ’টি নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। ছিল ব্রাত্য বসুর নির্দেশিত হাওড়ার সালকিয়া নাট্যনবীশের ‘আপাতত এই ভাবে দুই জনের দেখা হয়ে থাকে’, কলকাতা অন্তর্মুখের ‘জোলা ও সাত ভূত’, বীরভূম আত্মজের ‘পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনা’ প্রভৃতি। উৎসবের উদ্বোধন করেন সাহিত্যিক আদিত্য মুখোপাধ্যায়। জোলার মুখে ‘সাত ব্যাটাকেই চিবিয়ে খাওয়া’র সংলাপটির পরিবেশনা দর্শকদের নজর কাড়ে।

আউশগ্রামের দিগনগরেও স্থানীয় ‘চাঁদনি’-র সামনে দু’দিনের একাঙ্ক নাটক মঞ্চস্থ করল দিগনগর সাফল্য নাট্য সংস্থা। সংস্থার তরফে অমল সেন বলেন, ‘‘বর্ধমান মাহারাজাদের আমলে দিগনগর গ্রামে জলাশয়ের উপরে প্রমোদের জন্য এই স্থাপত্যটি (‘চাঁদনি’) তৈরি করা হয়। সেই গৌরবের কথা মনে রেখেই ১৬ বছর ধরে নাটকের আয়োজন করা হচ্ছে।’’ এখানে দুর্গাপুর আলাপনের ‘আবার গুপ্তধন’, বর্ধমান গ্রাফের ‘ভগীরথের মূর্তি’-সহ বেশ কয়েকটি নাটক প্রদর্শিত হয়। স্থাপত্যটিকে বাঁচাতে সরকারি উদ্যোগের আবেদন জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে।

Advertisement

মঙ্গলকোটেও ‘আলোর পথে’ নামে একটি শ্রুতি নাটক পরিবেশিত হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন