বাড়ি তৈরির অনুমোদন মিলবে ‘এক জানলা’ পদ্ধতিতে

নতুন ব্যবস্থায় কী ভাবে কাজ হবে? পুরসভা সূত্রে জানা যায়, আবেদনপত্র পাওয়ার পরে এই পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট পাঁচ জন বিভাগীয় ইঞ্জিনিয়ার এক সঙ্গে বসে তা খতিয়ে দেখবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১০:২৮
Share:

ফাইল চিত্র।

পুরসভায় বাড়ি তৈরির অনুমোদন পেতে অনেক সময় অস্বচ্ছতা ও দেরির অভিযোগ ওঠে। এ বার তা দূর করতে অনলাইনে ‘এক জানলা’ পদ্ধতিতে বাড়ি তৈরির অনুমোদনের ব্যবস্থা করছে দুর্গাপুর পুরসভা। শনিবার নতুন এই ব্যবস্থার উদ্বোধন করে দুর্গাপুর পুরসভার প্রশাসক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়।

Advertisement

এ দিন অনিন্দিতা বলেন, “নতুন ব্যবস্থায় নাগরিকদের অনেক সুবিধা হবে। বাড়িতে বসে খুব তাড়াতাড়ি প্রয়োজনীয় অনুমোদন পেয়ে যাবেন।” এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রশাসক বোর্ডের ডেপুটি চেয়ারপার্সন অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়, সদস্য দীপঙ্কর লাহা প্রমুখ।

কেন দরকার পড়ল এই পদ্ধতিটির? বাড়ি নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার আগে পুরসভা সংশ্লিষ্ট জায়গার মালিকানা, বাড়ির নির্মাণ পরিকল্পনা, পানীয় জল, নিকাশি ব্যবস্থা-সহ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় খতিয়ে দেখে। প্রতিটি বিষয় আলাদা-আলাদা করে সব যাচাই করতে গিয়ে অনেকটা সময় লেগে যায়।আবার কখনও-কখনও তাড়াতাড়ি অনুমোদন পাওয়ার জন্য‘বেআইনি’ আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও ওঠে। অনেকে শারীরিক ও নানা কারণে পুরসভায় আসা-যাওয়া করতে পারেন না। অন্যের উপরে ভরসা করতে গিয়ে অনেকেপ্রতারিত হন।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে ২০২১-এর ১৬ অগস্ট সারা রাজ্যে বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন পেতে অনলাইন ব্যবস্থা কার্যকরী হয়। বাড়ি নির্মাণের অনুমতি পেতে আর পুরসভায় আসতে হয় না। অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করা যায়। অনলাইনের মাধ্যমেই বাড়ি নির্মাণের অনুমতি দেয় পুরসভা। তবে দুর্গাপুর পুরসভা কাজে আরও গতি আনতে ‘এক জানলা’ নীতি নিয়ে এল।

নতুন ব্যবস্থায় কী ভাবে কাজ হবে? পুরসভা সূত্রে জানা যায়, আবেদনপত্র পাওয়ার পরে এই পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট পাঁচ জন বিভাগীয় ইঞ্জিনিয়ার এক সঙ্গে বসে তা খতিয়ে দেখবেন।প্রজেক্টরের মাধ্যমে পুরো আবেদনপত্রটি পর্দায় ফুটে উঠবে। সব ইঞ্জিনিয়ার এক সঙ্গে তা দেখতে পাবেন। এর ফলে পুরো প্রক্রিয়াটিতেই গতি আসবে। দ্রুত মিলবে অনুমতি। তা ছাড়া এর ফলে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে পুরো বিষয়টি সম্পন্ন হবে বলে মনে করছেন পুরসভারকর্তাদের একাংশ।

পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আবেদন প্রক্রিয়া যথাযথ হলে ১০-১২ দিনের মধ্যে অনুমোদন পাওয়া যাবে এই প্রক্রিয়ায়। তবে ভুল থাকলে আবেদন বাতিল হবে। তা সংশোধন করে ফের আবেদনকারীকে আবেদন করতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন