Kidnapping

ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দাবি মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ! ধৃত ইঞ্জিনিয়ার জানান, ধার অনেক, ছিল না নেশার টাকা

অপহরণকারীদের থেকে মুক্তি পাওয়ার পরেই গত ১৩ জানুয়ারি বুদবুদ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যবসায়ী। সেই অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। বিভিন্ন এলাকার সিসি ক্যামেরা ফুটেজ খতিয়ে দেখে অপহরণকারীদের খোঁজ পায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:১৯
Share:

ধৃতদের আদালতে হাজির করাতে থানা থেকে বার করার মুহূর্তের ছবি। —নিজস্ব চিত্র।

এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণের দাবি জানিয়েছিলেন অপহরণকারীরা। ৫০ লক্ষ টাকা দাবি ছিল তাঁদের। দর কষাকষির পর রফা হয় ১০ লক্ষ টাকায়। অপহরণকারীদের হাত থেকে ছাড়া পেয়েই সোজা থানায় যান ওই ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল। তার মধ্যে রয়েছেন দুই ইঞ্জিনিয়ারও। পুলিশি জেরায় তাঁরা স্বীকার করেন, ধারের টাকা মেটানোর জন্যই অপহরণ। শুধু তা-ই নয়, নেশা করার জন্যও প্রয়োজন ছিল টাকার।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১০ জানুয়ারি পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ের বিরুডিহার এলাকার বাসিন্দা জয়ন্ত গড়াই নামে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করেন কয়েক জন। তার পর মুক্তিপণ হিসাবে ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করেন। শেষে ১০ লক্ষ টাকায় রফা হয়। তবে শেষমেশ জয়ন্তের এক বন্ধু ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে ছ’লক্ষ টাকা রেখে যান। সেই টাকা পাওয়ার পর অপহরণকারীরা জয়ন্তকে মুক্তি দেন।

অপহরণকারীদের থেকে মুক্তি পাওয়ার পরেই গত ১৩ জানুয়ারি বুদবুদ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জয়ন্ত। সেই অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। বিভিন্ন এলাকার সিসি ক্যামেরা ফুটেজ খতিয়ে দেখে অপহরণকারীদের খোঁজ পায়। গাড়ির নম্বর থেকে চালক অভিজিৎ চক্রবর্তীর সন্ধান পান তদন্তকারীরা। তাঁকে জেরা করে বাকি চার অপহরণকারীর সম্পর্কে জানতে পারেন তাঁরা। ধৃতদের মধ্যে সুপ্রিয় খাওয়াস নামে এক যুবক রয়েছেন। তিনি ইসিএলে কাজ করেন। এমটেক পাশ করা ইঞ্জিনিয়ার সুপ্রিয়। জেরার সময় পুলিশের কাছে তিনি স্বীকার করেন, বাজার থেকে অনেক টাকা ধার করেছিলেন। কিন্তু তা শোধ করার টাকা ছিল না। এমনকি নেশা করার মতোও টাকার অভাব ছিল। সেই কারণেই এই কাজে যোগ দেন দেন সুপ্রিয়।

Advertisement

সুপ্রিয় ছাড়াও অপহরণকারী দলে ছিলেন আরও এক ইঞ্জিনিয়ার। তাঁর নাম সোহম চট্টোপাধ্যায়। এ ছাড়াও রয়েছেন সঞ্জীব বিশ্বাস নামে পানাগড় নতুনপাড়ার এক যুবক। তিনিই অপহরণের ঘটনার মূল পান্ডা। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি ইস্ট অভিষেক গুপ্তা জানান, ১৩ দিনেই অপহরণ ঘটনার কিনারা করছে বুদবুদ থানার পুলিশ। পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক করা হয় একটি বাইক এবং গাড়ি। উদ্ধার হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, চার রাউন্ড গুলি, দু’টি ম্যাগাজ়িন, একটি ধারালো অস্ত্র, পাঁচটি মোবাইল। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে লক্ষাধিক টাকাও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement