‘আক্রান্ত’ খনিকর্তা অরবিন্দকুমার সিংহ। নিজস্ব চিত্র
খনিকর্তার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটল পাণ্ডবেশ্বর ব্লকের শোনপুর-বাজারি প্রকল্পের ডালুরবাঁধ সাইডিংয়ে। সোমবার রাতের ঘটনা। খনি কর্তৃপক্ষ জানান, কয়লা চুরি আটকাতে গিয়েই আক্রান্ত হন প্রকল্পের এজিএম অরবিন্দকুমার সিংহ।
ইসিএল কর্তৃপক্ষ জানান, ওই রাতে খবর মেলে, ডাম্পার থেকে আঁকশির সাহায্যে কয়লা নামাচ্ছিল দুষ্কৃতীরা। চুরিতে বাধা দিতে যান অরবিন্দবাবু। অভিযোগ, সেই সময়েই তাঁকে লক্ষ করে এলেপাথাড়ি পাথর ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। ভাঙচুর করা হয় তাঁর গাড়ি। মাথায় চোট পান এজিএম। নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে উদ্ধার করেন।
এই ঘটনার কথা চাউর হতেই সিটু নেতা প্রবীর মণ্ডল অভিযোগ করেন, “শোনপুর-বাজারি এলাকায় দিনের আলোয় কয়লা চুরি হয়। সংস্থার আধিকারিকদের প্রত্যক্ষ মদত ছাড়া এটা সম্ভব নয়।’’ সেই সঙ্গে সংস্থার নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষী ও সিআইএসএফ-এর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএনটিইউসি অনুমোদিত কোলিয়ারি মজদুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক চণ্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘‘ইসিএল নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করলে এমনটা ঘটবে না।’’
যদিও ইসিএলের সিএমডি-র কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় বলেন, “বহিরাগতেরা শয়ে শয়ে দল বেঁধে এসে হামলা চালালে রক্ষীদের করার কিছু থাকে না। পুলিশ-প্রশাসনের কাছে নিয়মিত অভিযোগ জানানো হয়। তাদের সাহায্য ছাড়া হামলাকারীদের আটকানো সম্ভব নয়।’’ পাণ্ডবেশ্বর থানার পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এডিসিপি (সেন্ট্রাল) সায়ক দাস জানান, অভিযোগ পেলেই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।