শ্রীপুর

খনি সম্প্রসারণে বাধা পেয়ে ফিরল ইসিএল

গ্রামবাসীদের বাধার মুখে পড়ল ইসিএলের খনি সম্প্রসারণের কাজ। সোমবার সকালে ভানোড়া খোলামুখ কয়লাখনি সম্প্রসারণের কাজ করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের বাধায় ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন ইসিএলের কর্মী-আধিকারিকেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:১০
Share:

গ্রামবাসীদের বাধার মুখে পড়ল ইসিএলের খনি সম্প্রসারণের কাজ। সোমবার সকালে ভানোড়া খোলামুখ কয়লাখনি সম্প্রসারণের কাজ করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের বাধায় ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন ইসিএলের কর্মী-আধিকারিকেরা। অভিযোগ, ওই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করেছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। আসানসোল উত্তর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ইসিএল কর্তৃপক্ষ। পুলিশ গ্রামবাসীদের সঙ্গে বৈঠক করে সমাধানের চেষ্টা করছে।

Advertisement

ইসিএল সুত্রে জানা গিয়েছে, সংস্থার শ্রীপুর এরিয়ার ভানোড়া কয়লাখনি সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর জন্য বারাবনি ব্লকের মাজিয়ারা মৌজা এবং আসানসোল পুরসভার পড়িরা মৌজা থেকে প্রায় ৫০ একর জায়গা কিনেছে ইসিএল। এর জন্য নিয়মমতো জমির মালিকদের জমির ন্যায্য দাম ও চাকরিও দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি ইসিএলের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন প্রস্তাবিত খোলামুখ খনিতে যাওয়ার জন্য যোগাযোগের রাস্তা তৈরি করতে গিয়েছিলেন ইসিএলর কর্মী-আধিকারিকেরা। প্রাথমিক ভাবে সেই কাজ শুরু করতেই স্থানীয় পড়িরা গ্রামের বেশ কিছু বাসিন্দা ঘটনাস্থলে এসে কাজে বাধা দেন। দুর্ব্যবহার করে কর্মী-অফিসারদের সেখান থেকে ফেরত পাঠানো হয়।

ওই গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন, তাঁদের এলাকায় কয়লাখনি তৈরি হলে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কয়লা তুলবে ইসিএল। তার ফলে গ্রামের জমি ও বাড়িতে ফাটল ধরবে। তাঁরা ভবিষ্যতে আর সেখানে বসবাস করতে পারবেন না। অন্যত্র পুনর্বাসনের পাশাপাশি খনিতে চাকরির দাবি তুলেছেন ওই গ্রামবাসীরা। কিন্তু গ্রামবাসীদের এই দাবি ইসিএল কর্তৃপক্ষ মানতে রাজি নন। তাঁরা জানিয়েছেন, এই খনি সম্প্রসারণের ফলে পড়িরা গ্রামের বাসিন্দারা কোনও ভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। কর্তৃপক্ষের আরও দাবি, তাঁরা সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন খনি সম্প্রসারণ হলে পড়িরা গ্রামটি অক্ষতই থাকবে। কিন্তু গ্রামবাসীরা এই কথা মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি পূরণ না হলে খনি সম্প্রসারণ করতে দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কিন্তু এই খনি সম্প্রসারণের জন্য যে সব গ্রামবাসী জমি দিয়েছেন, তাঁরা চাইছেন যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু হোক। এবং তাঁদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিক ইসিএল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

ইসিএলের সিএমডির কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় বলেন, ‘‘গ্রামবাসীদের এই বাধা একেবারেই সমীচিন নয়। আমরা নিয়ম মেনেই খনি সম্প্রসারণ করার কাজ শুরু করেছি। কিন্তু তাঁদের বাধায় শুরু করা যায়নি।’’ ইসিএল সূত্রের খবর, আগামী ১ অক্টোবর থেকেই প্রস্তাবিত এলাকায় খনি খননের কাজ শুরু করার কথা রয়েছে। কিন্তু গ্রামবাসীরা যে-ভাবে বাধা দিচ্ছেন, তাতে এই কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শুরু করা যাবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বৈঠক করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন