কাটোয়া-আজিমগঞ্জে ট্রেন

কাটোয়া-আহমদপুর শাখার  ৫২ কিলোমিটার বৈদ্যুতিকরণের জন্য ৫৩ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। কাটোয়া থেকে আজিমগঞ্জ-নলহাটি ৭০ কিলোমিটার রেলপথের বৈদ্যুতিকরণের কাজ বছর তিনেক আগে শুরু হলেও এ বারের বাজেটে কাজ শেষ করার জন্য ১২২ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৮ ০২:২০
Share:

যাত্রা: পরীক্ষামূলক ভাবে বিদ্যুৎচালিত ট্রেন রওনা হচ্ছে কাটোয়া থেকে। রবিবার। নিজস্ব চিত্র

পরীক্ষামূলক ভাবে বৈদ্যুতিন ট্রেন চলল কাটোয়া-আজিমগঞ্জ লাইনে। রবিবার ১২ কোচের ইএমইউ ট্রেন চালিয়ে রেললাইন, স্টেশনের পরিকাঠামো খুঁটিয়ে দেখা হয়। তবে কবে থেকে পুরোপুরি ট্রেন চলবে তার দিশা দিতে পারেননি রেল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

পূর্ব রেল সূত্রে জানা যায়, এ বছরের রেল বাজেটে আজিমগঞ্জ ও নির্মীয়মাণ আহমেদপুর শাখাকে সম্পূর্ণ ভাবে বৈদ্যুতিকরণের সিদ্ধান্ত নেয় রেল। কাটোয়া-আহমদপুর শাখার ৫২ কিলোমিটার বৈদ্যুতিকরণের জন্য ৫৩ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। কাটোয়া থেকে আজিমগঞ্জ-নলহাটি ৭০ কিলোমিটার রেলপথের বৈদ্যুতিকরণের কাজ বছর তিনেক আগে শুরু হলেও এ বারের বাজেটে কাজ শেষ করার জন্য ১২২ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। এ দিন কাটোয়া-আজিমগঞ্জ লাইনে ট্রেন চললেও আহমদপুরে কবে ট্রেন চলবে তা জানাতে পারেননি আধিকারিকেরা।

বর্তমানে ডিজেল চালিত ট্রেনে কাটোয়া থেকে আজিমগঞ্জ পৌঁছতে ঘন্টা দুয়েক সময় লাগে। রেল সূত্রে জানা যায়, বৈদ্যুতিকরণ হলে প্রায় কুড়ি মিনিট সময় কম লাগবে। আহমেদপুরও এক ঘন্টার মধ্যে পৌঁছনো সম্ভব হবে। তার উপর ডিজেল চালিত রেক সপ্তাহে একদিন রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়। ফলে সপ্তাহে ছ’দিনের বেশি ট্রেন চালানো যায় না। বিদ্যুতচালিত ট্রেনের ক্ষেত্রে সে সমস্যা নেই।

Advertisement

এ দিন আজিমগঞ্জ শাখার প্রতিটি স্টেশনে দাঁড়িয়ে যাত্রীদের সুবিধা অসুবিধা খুঁটিয়ে দেখা হয়। শিবলুন স্টেশনের উচ্চতা কম, গঙ্গাটিকুরীর ২ নম্বর প্লাটফর্মের দৈর্ঘ্য কম-এ সব বিষয় উঠে আসে। সব স্টেশনে সিঁড়িবিহীন ইএমইউ রেক দাঁড়াতে পারবে কি না তাও দেখা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন