Encroachment

রাস্তা ‘বেদখল’, বর্ধমান-আরামবাগ পথে বাড়ছে দুর্ঘটনা

রাস্তার দু’পাশে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দোকানদারদের একাংশের দাবি, রাস্তা থেকে নির্দিষ্ট জায়গা ছেড়ে পতিত জমিতে তাঁদের দোকান রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২১ ০৬:১৯
Share:

কোথাও রাস্তার ধারে জমা প্লাস্টিক, চটের বস্তা, কোথাও জড়ো করে রাখা নির্মাণ সামগ্রী। নিজস্ব চিত্র।

জেলার অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা বর্ধমান-আরামবাগ রোড। দু’লেনের এই রাস্তায় দিনভর যানবাহনের ভিড় লেগে থাকে। অথচ, ট্রাকের বেপরোয়া গতি ও পথের দু’ধারে রাখা নির্মাণসামগ্রীর কারণে রাস্তাটি সঙ্কীর্ণ হয়ে যাওয়ায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের একাংশের। বিপত্তি বাড়ছে রাস্তার পাশে ‘অবৈধ’ নির্মাণের কারণেও।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ দামোদর, জামালপুর, আরামবাগ, বাঁকুড়া মোড় থেকে রায়না, খণ্ডঘোষ, মাধবডিহির মতো নানা এলাকায় এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন বাসিন্দারা।

অথচ, পলেমপুর, মাছখাণ্ডা, বাঁকুড়া মোড়-সহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, পলেমপুর থেকে আরামবাগ পর্যন্ত অংশে কার্যত প্রতি মোড়েই রাস্তার পাশে অবৈধ নির্মাণ গড়ে উঠছে। এ ছাড়া, মূল রাস্তার ধারে পলেমপুর, খালেরপুল, বাঁকুড়া মোড়, সগড়াই, বাদুলিয়া-সহ নানা জায়গায় জবরদখল করে গজিয়ে উঠেছে ছোট-বড় দোকান। তবে, রাস্তার দু’পাশে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দোকানদারদের একাংশের দাবি, রাস্তা থেকে নির্দিষ্ট জায়গা ছেড়ে পতিত জমিতে তাঁদের দোকান রয়েছে।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে রাস্তা সঙ্কীর্ণ হয়ে যাওয়ায় গত এক বছরে অন্তত সাত-আটটি দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা গৌরাঙ্গ দেব, সৌমেন ঘোষেরা। পাশাপাশি, স্থানীয় বাসিন্দা সফিউদ্দিন আহমেদ, গোপাল ঘোষদের অভিযোগ, ‘‘রাতে এই রাস্তায় আলোর সমস্যা রয়েছে। তীব্র গতিতে ট্রাক যাতায়াত করে।’’

এমন অবস্থায় সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের সক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসীর একাংশ। তবে, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন