গাড়ি চাপা কাণ্ডে হামিদুল্লা অধরাই

ঘটনার পরে দু’টো দিন কেটে গেলেও হদিস নেই বেপরোয়া গা়ড়ি চালানোয় অভিযুক্ত মন্তেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়কের ছেলের। তাঁর বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুন-সহ তিন ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ২২ মে ২০১৭ ০২:৫৮
Share:

ধৃত মহম্মদ শাহিদ। নিজস্ব চিত্র

ঘটনার পরে দু’টো দিন কেটে গেলেও হদিস নেই বেপরোয়া গা়ড়ি চালানোয় অভিযুক্ত মন্তেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়কের ছেলের। তাঁর বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুন-সহ তিন ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। দুর্ঘটনায় মৃত ঝাড়খণ্ডের ৪ বাসিন্দার দেহ রবিবার পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

Advertisement

শুক্রবার রাতে মন্তেশ্বরের জয়রামপুরে ট্রাক্টরে গাড়ির ধাক্কায় ৯ জন জখম হন। তাঁদের মধ্যে চার জনের মৃত্যু হয়। মন্তেশ্বরের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক চৌধুরী মহম্মদ হেদায়েতুল্লার ছেলে হামিদুল্লা চৌধুরী মদ্যপ অবস্থায় গাড়িটি চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। তিনি ঘটনার পরেই পালিয়ে যান। পুলিশ জানায়, তাঁর মোবাইলের গতিবিধির উপরে নজর রাখা হচ্ছে। কিছু তথ্যও মিলেছে। গাড়িতে হামিদুল্লার সঙ্গী, ধৃত মহম্মদ শহিদকে রবিবার কালনা আদালত ১৪ দিন জেল-হাজতে পাঠায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পড়াশোনার জন্য দীর্ঘদিন গ্রামের বাইরে ছিলেন হামিদুল্লা। এমসিএ পাশ করে বছর দেড়েক আগে ফিরে এসে লেদের ব্যবসা শুরু করেন। বাসিন্দাদের অনেকে জানান, হামিদুল্লা গ্রামে বিশেষ একটা মেলামেশা করতেন না। নির্দিষ্ট কয়েক জনের সঙ্গে তাঁর ওঠাবসা ছিল। কোনও রাজনৈতিক কাজকর্মেও তিনি থাকতেন না। তবে এলাকায় তাঁকে কখনও মদ্যপ অবস্থায় দেখা যায়নি, দাবি অনেকের।

Advertisement

মহম্মদ শহিদ এ দিন আদালতে ঢোকার সময়ে দাবি করেন, শুক্রবার বিকেলে নবদ্বীপ রোডে হেমায়েতপুরে লেদের কর্মচারী খুঁজতে গিয়েছিলেন তাঁরা তিন জন। তার পরে একটি হোটেল থেকে মদ কিনে গাড়িতে বসেই খান। ফেরার সময়ে এক জন কুসুমগ্রামের আগে গাড়ি থেকে নেমে যান। শহিদের দাবি, গাড়ি চালাচ্ছিলেন হামিদুল্লাই। কুসুমগ্রাম বাজারে রাস্তার পাশে একটি মোটরবাইকে ধাক্কা দিলে এলাকার লোকজন গাড়িটিকে ধাওয়া করেন। তখনই দ্রুত গতিতে পালাতে গিয়ে জয়রামপুর সেতুর কাছে গাড়িটি ধান বোঝাই ট্রাক্টরে ধাক্কা মারে। ট্রাক্টরটি পাশের নয়ানজুলিতে উল্টে যায়। শহিদের দাবি, দুর্ঘটনার পরেই গাড়ি থেকে নেমে কুসুমগ্রাম থেকে ধাওয়া করে আসা একটি মোটরবাইকে চেপে পালিয়ে যান হামিদুল্লা।

শনিবার প্রাক্তন বিধায়ক দাবি করেছিলেন, তাঁর ছেলে মদ্যপান করেন, এ কথা তাঁদের জানা নেই। রবিবার বারবার চেষ্টা করেও হেদায়েতুল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। পুলিশ এখনও তাঁর পরিবারের কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি।
পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের এক কর্তার বক্তব্য, ‘‘প্রয়োজন অনুযায়ী কথা বলা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন