শিল্পাঞ্চল জুড়ে জাতীয় সড়কের আশপাশে মদের দোকানের সংখ্যাটা প্রায় দেড়শো। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছে, আগামী এপ্রিল থেকে রাজ্য ও জাতীয় সড়কের পাঁচশো মিটারের মধ্যে কোনও মদের দোকান রাখা যাবে না। সেই নির্দেশ পালন করতে এখন থেকেই নড়েচড়ে বসেছে জেলার আবগারি দফতর। এমন দোকানের তালিকা তৈরি করে আবগারি কমিশনারের কাছে পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে, জানিয়েছেন দফতরের আধিকারিকেরা। বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করতে বৈঠক ডাকা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মদ ব্যবসায়ীদের সংগঠনও।
আবগারি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আলানসোল বাইপাসের জুবিলি মোড় থেকে ডিভিসি মোড় পর্যন্ত ছ’টি, জামুড়িয়ার নিঘা পার্ক মোড়, নিঘা বাসস্ট্যান্ডের কাছে, চাঁদা, জেকেনগর মোড়, রানিগঞ্জের রানিসায়ের মোড় থেকে মঙ্গলপুর মোড়ে আটটি মদের দোকান ও পানশালা রয়েছে। কাজোড়া চিতাডাঙা থেকে দুবচুরুরিয়ার মধ্যে চারটি পানশালা ও তিনটি দোকান রয়েছে। অন্ডাল মোড়ে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে একটি পানশালার মালিক গুণময় ঘোষ বলেন, “খুব কষ্ট করে লাইসেন্স পেয়েছিলাম। এর পরে কোথায় জমি পাব, কী ভাবে চালাব জানি না।”
বিষয়টি নিয়ে আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষক চন্দ্রশেখর কুণ্ডুর বক্তব্য, “যে কোনও প্রধান সড়ক থেকে মদের দোকান দূরে হওয়া উচিত।” তবে খান্দরা কলেজের অধ্যক্ষ সঞ্জীব হাজরার মতে, “মদ্যপান করে গাড়ি চালানো উচিত নয়, এই সচেতনতা গড়ে তোলা দরকার।”
আবগারি বিভাগের বর্ধমান পশ্চিম এরিয়া কার্যালয়ের হিসেব অনুযায়ী, রাজ্য ও জাতীয় সড়কের ধারে পাঁচশো মিটারের মধ্যে সব থেকে বেশি মদের দোকান আছে দুর্গাপুর ও কাঁকসা সার্কেলে —৬৫টি। প্রথমে এই দোকানগুলির তালিকা পাঠিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যেমন নির্দেশ দেবেন সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ‘বেঙ্গল এফএল ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক সৌনিন রায় জানান, এই ধাক্কার জেরে ক্ষতি কম করতে কী পদক্ষেপ করা যেতে পারে, সংগঠনের তরফে সে নিয়ে বৈঠক-আলোচনা চলছে।