Suicide

অতিবৃষ্টিতে একের পর এক ফসল নষ্ট! দেনার দায়ে বর্ধমানে আত্মঘাতী কৃষক

মৃতের দাদা লক্ষ্মীনারায়ণ ঘোষ জানান, এক বছর আগে সত্যনারায়ণের স্ত্রীর মৃত্যু হয়। তার পর থেকে অবসাদে ভুগছিলেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২৫ ২০:২৮
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

এক কৃষকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল বর্ধমানের জামালপুরের কনকপুর গ্রামে। পুলিশের অনুমান, গলায় গামছার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। স্থানীয়দের দাবি, দেনার দায়েই এই পদক্ষেপ করেছেন।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সত্যনারায়ণ ঘোষ। তাঁর বয়স ৫০ বছর। বুধবার সকালে গরু নিয়ে মাঠে চরাতে গিয়েছিলেন। দীর্ঘ ক্ষণ তাঁকে না দেখে খোঁজ শুরু করেন আত্মীয়েরা। সত্যনারায়ণের বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে একটি কুঁড়ে ঘরে প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তাঁরা। তাঁর গলার ফাঁস খুলে জামালপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

মৃতের দাদা লক্ষ্মীনারায়ণ ঘোষ জানান, এক বছর আগে সত্যনারায়ণের স্ত্রীর মৃত্যু হয়। তার পর থেকে অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। সমস্যা বৃদ্ধি করেছিল দেনা। গত পাঁচ বছর ধরে ১০ বিঘা জমিতে চাষ করছিলেন ওই কৃষক। কিন্তু লোকসান বেড়েই চলছিল। এর ফলে এলাকার ব্যবসায়ী এবং মহাজনের থেকে ধার করেছিলেন সত্যনারায়ণ। অভিযোগ, পাওনাদারদের অনেকে বাড়িতে গিয়ে অপমান করেন তাঁকে। স্থানীয়দের দাবি, গত বছর আলু চাষ করেন ওই কৃষক। কিন্তু তা পচে যায়। ধান চাষ করেন। বৃষ্টির কারণে সেই ফসলও নষ্ট হয়। তাতেই আরও ভেঙে পড়েন সত্যনারায়ণ। তার পরেই এই চরম পদক্ষেপ বলে মনে করছে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement