বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষের এলাকা বাড়ছে কালনা মহকুমায়। জেলা উদ্যানপালন বিভাগের দাবি, গতবারের সাফল্যের পরে এই চাষে উৎসাহ বেড়েছে চাষিদের। এমনকী সোমবার ভর্তুকির বীজ বিলি শুরু হতেই দুপুরের মধ্যেই বেশির ভাগ বিক্রি হয়ে গিয়েছে বলেও কর্তাদের দাবি। চাষিরাও বলছেন, একে তো কম টাকায় মিলছে, তার উপর ফলনও ভাল। ফলে সুযোগ হাতছাড়া করছেন না কেউই।
উদ্যানপালন বিভাগের হিসেবে এ বার জেলায় ৬০০ বিঘা জমিতে বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষের পরিকল্পনা রয়েছে। যার মধ্যে কালনাতেই লক্ষ্যমাত্রা ৫০০ বিঘা। আধিকারিকেরা জানান, গত বছর ১৬০ বিঘা জমিতে এই চাষ হয়। তাছা়ড়া বেসরকারি উদ্যোগে আরও কিছু জমিতেও বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষ করেন অনেকে। নতুন ধরনের চাষে ভাল ফলন হয় আবার লাভের মুখও দেখেন চাষিরা। ফলে এ বছর ওই চাষিদের অনেকেই চাষের এলাকা বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছেন। আবার লাভের হার দেখে অনেকে নতুন করে এই পেঁয়াজ চাষ শুরু করতে চলেছেন। সোমবার ভর্তুকির বীজ নিতে আসা চাষিরা জানান, খোলা বাজারে কেজি প্রতি বীজের দাম ১৬০০ টাকা। সেখানে ভর্তুকির বীজ বিলি হচ্ছে কেজি প্রতি ৫০০ টাকায়। তবে নাদনঘাটের রফিকুল আলম সাহানা, নতুনগ্রামের শাজাহান শেখদের দাবি, ভাল ফলন দিলেও চাহিদার তুলনায় ভর্তুকির বীজ মিলছে কম। উদ্যানপালন বিভাগেরও দাবি, মহকুমায় কালনা ১ ২ এবং পূর্বস্থলী ২ ব্লকে বীজের ভাল চাহিদা রয়েছে। কালনা ২ ব্লকের কৃষি আধিকারীক ভাস্কর দত্ত জানান, এখন ১০০ বিঘা বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষের বীজের চাহিদা রয়েছে। সংখ্যাটি আরও বাড়তে পারে। উদ্যানপালন দফতরের মহকুমা আধিকারিক পলাশ সাঁতরারও আশ্বাস, ‘‘চেষ্টা চলছে আরও ভর্তুকির বীজ জোগাড় করার।’’