TMC

বাবা, ছেলেকে গুলি করার অভিযোগ রায়নায়, শুরু তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে চাপান-উতোর

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার গভীররাতে রায়নার নতুন গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন শুকুর গ্রামের বাসিন্দা বাদল সিংহ এবং তাঁর ছেলে মৃগাঙ্ক সিংহ ওরফে লালনকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়না শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:৩১
Share:

হাসপাতালে ভর্তি বাবা এবং ছেলে। — নিজস্ব চিত্র।

বাবা এবং ছেলেকে গুলি করার অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমানের রায়না এলাকার শুকুর গ্রামে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার গভীর রাতে। জখমরা দু’জনেই তৃণমূল কর্মী। তাঁদের ভর্তি করানো হয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এই নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক চাপান-উতোর।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার গভীররাতে রায়নার নতুন গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন শুকুর গ্রামের বাসিন্দা বাদল সিংহ এবং তাঁর ছেলে মৃগাঙ্ক সিংহ ওরফে লালনকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। তাঁদের উদ্ধার করে ভর্তি করানো হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এই নিয়ে দায়ের করা হয়েছে এফআইআর। রায়না ১ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বামদেব মণ্ডল অভিযোগ করেছেন বিজেপির বিরুদ্ধে। তাঁর দাবি, ‘‘গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ধারাবাহিক আক্রমণের মুখে এই মৃগাঙ্ক সিং দলের হয়ে লড়াই করেছিল। তাদের লড়াইতেই হিজলনা অঞ্চলে সংগঠন ধরে রাখা সম্ভব হয়। তার জেরেই এ বারের বিধানসভার ভোটে জেতে শাসকদল।’’ তাঁর অভিযোগ, সৌমেন রায়, হেমন্ত মাঝি এবং তরুণ রায়ের নেতৃত্বে মৃগাঙ্ক এবং তাঁর বাবার উপর আক্রমণ হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃগাঙ্ক এবং তাঁর বাবা বাদলের পায়ে গুলি লেগেছে। তাঁদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তৃণমূলের অভিযোগ নিয়ে পূর্ব বর্ধমানের বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, ‘‘আমাদের দলের সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগ নেই। রায়নার তৃণমূল বিধায়ক শম্পা ধাড়া এবং তৃণমূল নেতা বামদেব মণ্ডলের দীর্ঘ দিনের বিবাদ রয়েছে। এর আগেও অনেক বার মারপিট হয়েছে। দুই গোষ্ঠীর এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে এই অশান্তি।’’

Advertisement

পূব বর্ধমানের পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেন, ‘‘অভিযুক্ত তরুণ রায়ের লাইসেন্স প্রাপ্ত বন্দুক আছে। তা দিয়েই গুলি চালানো হয়েছে। আমরা জানি যে কে গুলি চালিয়েছে। তদন্ত চলছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন